আগামী ১ অক্টোবর শনিবার থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা । মিরসরাই উপজেলার মন্ডপে মন্ডপে প্রস্তুতি নিচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে এবার পূজায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আলোকসজ্জা কমানো, প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা সহ সরকারি নিদের্শনা মেনে মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ও মিরসরাই থানার অর্ন্তগত ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় অবস্থিত ৮৯টি পূজা মন্ডপে শারদীয়া দূর্গাৎসবের প্রস্ততি চলছে । এরমধ্যে জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ৪৯ টি ও মীরসরাই থানার আওতায় রয়েছে ৪০টি পূজা মন্ডপ । এগুলোর মধ্যে ৮৪টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা পূজা হবে । বাকি ৫টিতে হবে ঘট (প্রতিমা বিহীন) পূজা ।
প্রতিমা তৈরির কারিগর তাপস দে জানান, তিনি প্রতি বছর উপজেলায় ২০-২৫ টি মন্ডপে প্রতিমার তৈরি করে থাকি । গত দুইবছর করোনা মহামারীর জন্য সীমিত বাজেটে প্রতিমা তৈরি করলেও এবার বড় বাজেটে প্রতিমা তৈরি করছে অনেক মন্ডপে ।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পূজা কমিটি ও দেওয়ানপুর সার্বজনীন শ্রীশ্রী শীতলানন্দ মিশন ও কালী মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি নিতাই বনিক জানান, মহাপঞ্চমীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু পরদিন মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ । প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতনীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব । উপজেলার শুধু আমাদের গ্রামের সবচেয়ে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হয় । এখানে প্রায় দশটি পূজা হয়।
মিরসরাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একাধিক প্রস্তুতিমূলক সভায় করেছি । এবার ওচমানপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবপুর গ্রামে ১টি পূজা বেড়ে ৮৯টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে । এবার সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আলোকসজ্জ্বা কমানো, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সকল পূজা মন্ডপের কমিটিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, মিরসরাইয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। উপজেলার পূজা কমিটির পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদারকি করছে । মিরসরাইয়ে কোন ধরনের ধর্মীয় উস্কানি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
