‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেশবাসীকে হলে গিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সিনেমাটির প্রিমিয়ার শোতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।
সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সিনেমাটি আগামীকাল (শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর) সারা দেশে ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির পরিচালক ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মিত হওয়ায় ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি চান, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব চির অটুট থাকুক।
প্রিমিয়ার শো-তে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এর নির্মাণের সাথে যারা জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজনা সংস্থা, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ যারা সিনেমাটি নির্মাণে কাজ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটি নির্মাণের শুরুতে কিছু বাধা এসেছিল, তবুও এটি শেষ হয়েছে। দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান, আপনারা এ সিনেমার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আমার পরিবার, মা-বাবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যে ইতিহাস কখনো শুনেননি, তাও উঠে এসেছে এ সিনেমায়।’
এ সময় দেশবাসীকে আগামীকাল শুক্রবার সবাইকে সিনেমা হলে গিয়ে এ সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, এক অনুষ্ঠানে অভিনেতা আরিফিন শুভ বলেন, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখতে আপনারা সবাই আসবেন সপরিবারে। এটি আমাদের দেশের গল্প, আমাদের জাতির জনকের গল্প। অনেক সুন্দর একটি সিনেমা; পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো।’
এ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুননেছা মুজিবের চরিত্রে আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, আর তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ।
এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক অভিনয় শিল্পী।
বাংলাদেশের ৬০ ভাগ ও ভারতের ৪০ ভাগ ব্যয়ে নির্মিত এ বায়োপিকের শ্যুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়; আর শেষ হয় একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে।