শত ব্যস্ততার মাঝে বছরের একটি দিনে নিজেরায় নয়নাভিরাম নৃত্য ও গান-কবিতা পরিবেশন করে একটি উচ্ছাস দিন কাটালো ডাক্তাররা। পেশাদার নৃত্য শিল্পীর মতো নজরুল গীতির গানে ক্লাসিকাল নৃত্য মঞ্চে সবার চোখ আকৃষ্ট করেন ডা. কাকন। কেউ ভাবতেই পারে নি দিন-রাত রুগী দেখতে ব্যস্ত থাকা একজন ডাক্তার কোন রকম প্রাকটিস ছাড়াই নৃত্য দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখতে পারবে।
আবার এই অনুষ্ঠানে চমৎকার গান গেয়ে দর্শকদের উচ্ছাসিত করেন ডা. শাহরিয়ার খান প্রিন্সসহ অন্যরা। দর্শকদের অনুরোধে একাধিক গান গেয়ে শুনান ডা. প্রিন্স। এছাড়া ভরাট কন্ঠে কবিতা আবৃতি করেন ডা.বর্ণালী।
টঙ্গীর শহীদ আহসানুল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক বনভোজন নরসিংদীর হেরিটেজ রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শহীদ আহসানুল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে কোস্টার বাস এবং মাইক্রোতে করে ডাক্তাররাসহ সব স্টাফ নরসিংদির দৃষ্টি নন্দন হেরিটেজ রিসোর্টে পৌছায়। হাসপাতালটির উপপরিচালক ডা. আফজালুর রহমান ও সহকারী পরিচালক ডা. ফারহানার তত্ত্বাবধানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা.জাহাঙ্গীর আলম।
দুপুরে ভোজের পর হেরিটেজ রিসোর্টের একটি বিশাল মাঠে ডাক্তারদের সন্তানরা ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলে আনন্দ উপভোগ করে। ডাক্তারদের সন্তানরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শ্রুতি মধুর গান ও বিভিন্ন কবিতা আবৃতিসহ নৃত্য পরিবেশন করেন।
এরপর নারী ডাক্তাররা বালিশ ফাঁকি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। এছাড়া কাপল ডাক্তারদের নিয়ে শুরু হয় চোখ বেধে কপালে টিপ দেওয়ার মতো আকষনীয় একটি খেলা।এতে ৫-৬ হাত সোজাসোজি বসিয়ে স্বামীর চোখ বেধে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে সনানে বসে থাকা স্ত্রীর কপালের উপযুক্ত স্থানে টিপ পরিয়ে দিতে পারে। স্ত্রীর কপালে টিপ দিতে স্বামীরা সময় পায় ১০ সেকেন্ড।
টঙ্গী জেনারেল হাসপাতালের এই বনভোজনে অংশ নেওয়া ডা. মোজাম্মেল দৈনিক বায়ান্নকে বলেন, ব্যস্ততার মধ্যে এরকম একটি দিন আমাদের প্রশান্তি দেয়। এই মেডিকেলের সব ডাক্তার ও স্টাফরা মিলে চমৎকার একটি দিন কেটেছে বলে উচ্ছাস প্রকাশ করেন তিনি।
সবশেষে রাফেল ড্র দিয়ে শেষ হয় টঙ্গী জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার পরিবারের বনভোজন।
বায়ান্ন/এমএমএল/একে