বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার এই বৈঠকটি বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর আড়াইটায়। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং ভারতের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর এটিই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রথম বৈঠক। ফলে বৈঠকটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। নতুন সরকারের অধীনে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ও অগ্রগতির বিষয়ে উভয় পক্ষই ইতিবাচক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছে।
বৈঠকের সূচনার আগে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বাণিজ্য, সীমান্ত সমস্যা, পানিবণ্টন, কানেক্টিভিটি এবং সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি আজ সকালে প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা আসেন। তার সম্মানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে। বিকেলে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সাধারণত এফওসি বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়, তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২৩ সালে দুইবার এ বৈঠক আয়োজন করা হয়- ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এবং নভেম্বরে নয়াদিল্লিতে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এবারের আলোচনায় প্রধানত বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পানিবণ্টন সমস্যা এবং আন্তঃসংযোগ (কানেক্টিভিটি) জোরদারের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুসংহত করার বার্তা দেয়া হয়। একইসঙ্গে ভারতের কাছ থেকে এ ধরনের ইতিবাচক মনোভাব প্রত্যাশা করা হয়েছে।
বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছে। বৈঠকের আলোচনার প্রভাব ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস/একে