জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরো এক বছর তিন মাস। কিন্তু এরই মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামীতে কোন্ দল থেকে কে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। কোন্ এলাকায় কে এমপি নির্বাচিত হলে জনস্বার্থ প্রধান্য পাবে তা নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। এই আলোচনায় উঠে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা।
সিলেট অঞ্চলও ওই আলোচনা থেকে পিছিয়ে নেই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্য দিয়েই বের হয়ে আসছে জনবান্ধব প্রার্থীদের নাম।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার নিয়ে সিলেট-৬ আসন গঠিত। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নানান কারণে এলাকার দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের নতুন ও জনবান্ধব প্রার্থী কামনা করছেন। স্থানীয়রা আশা করছেন আওয়ামী লীগ এই আসনে জনবান্ধব প্রার্থী দিলে জনপ্রত্যাশা পূরণ হবে। এই হিসেব নিকেশে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ বলেছেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম আগামী নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন। কয়েক মাস হয় উপ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনপ্রত্যাশা পূরণে অনেক এগিয়ে আছেন মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জনপ্রিয়তায় এলিমের এগিয়ে যাওয়ার কাহিনী। আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য এলিমের বড় ভাই ফারুক আহমদ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। মেজো ভাই ইকবাল আহমদ চৌধুরী ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালকালীন মৃত্যু বরণ করেন ইকবাল আহমদ চৌধুরী। ইকবাল আহমদের মৃত্যুর পর ওই উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রায় ৫০ হাজার ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সপ্তাহের ৫ দিন (রোববার-বৃহস্পতিবার) এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে হাত মিলিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্ম পরিকল্পনার কারণে অল্প সময়ে সাধারণ মানুষের নজর কাড়তেও সক্ষম হয়েছেন তিনি।
মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম একজন ডাকসাইটে ব্যবসায়ী। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। সেদেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তিনি। দেশে এসেও তিনি ব্যবসা বিস্তারে নিজকে আত্মনিয়োগ করেন। বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন জ্বালানী খাতে ( বিদ্যুত)। এই খাতে তিনি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি বারাক গ্রুপের ডিএমডি। কর্নফুলি পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বারাকা পতেঙ্গা গ্রুপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সফল ব্যবসায়ী মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম এলাকার উন্নয়নে, শিক্ষার উন্নয়নে ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন অনেক আগে থেকেই। করোনা দুর্যোগের সময় মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম গোলাপপগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবিরাম ছুটে গেছেন খাদ্য সহায়তা নিয়ে। কর্মহীন মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তা। দুই বছর ধরে মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম চালিয়ে গেছেন ওই মানবিকতা। যে জন্যে উপজেলার গ্রামীণ পর্যায়ের সাধারণ মানুষ মঞ্জুর কাদির শাফি এলিমকে মানবতার ফেরীওয়ালা বলতে ভালোবাসেন।
গোলপাগঞ্জ উপজেলার একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম মসজিদ মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মী প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন অকাতরে। এলাকার জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষায় এগিয়ে নেয়ার জন্যে পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করেছেন। সামাজিক সংগঠন গুলোকে এলাকার উন্নয়ন সম্পৃক্ত করারও পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম বলেন, ‘রাজনীতি করি। স্বাভাবিকভাবে সিলেট-৬ আসনের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। এই কাজ করতে হলে বড় প্লাফর্ম হচ্ছে জাতীয় সংসদে যাওয়া। আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন চাইব। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে অংশ নেব।‘