ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

নিখোঁজের ৫ দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল যাওয়ার পথে অটোরিকশা সহ গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম (১৪)। নিখোঁজের পাচঁদিন পর পাশের উপজেলা রানীশংকৈল রামরায় দিঘির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে তার অর্ধগলিত লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলার রামরায় দিঘির পাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই অটোরিকশা চালক কিশোরের অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়। নিহত ওই কিশোর হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের দামোল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। 

রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিকাল ৫ টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।,

সাইফুলের সন্ধান না পেয়ে তার দাদা মুনসেফ আলী (৫৮) হরিপুর থানায় একটি জিডি করেন।

পরিবারের অভিযোগ, জিডি করার পরেও পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি বলে সাইফুলকে আজ লাশ হতে হয়েছে।

নিহতের দাদা মুনসেফ আলী বলেন, 'গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় অটোরিক্সা নিয়ে রাণীশংকৈল যায়। এর পর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সাইফুলকে না পেয়ে হরিপুর থানায় জিডি করি। আজ শুনতে পাই তার লাশ ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ যদি অভিযোগটা গুরুত্ব দিতো তাহলে সাইফুলকে আজ লাশ হতে হতোনা।পুলিশের গাফিলতির জন্যই আমার নাতি লাশ হলো।,

কিন্তু হরিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নিহতের দাদা গত ১ মার্চ বিকালে থানায় জিডি করেন। তার জিডির প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক আমার নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তার খোঁজ নিতে থাকি। এছাড়াও নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ফেসবুকে দেন। সেখানে থেকে কিছু প্রতারক চক্র তাদের কল করে বলে, আপনাদের ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে তাই দ্রুত আপনারা টাকা পাঠান। এই বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ওই মোবাইল নম্বর গুলো ট্রেস করি ও জানতে পারি যে আসলেই তা সত্য নয়। তারা একটা প্রতারক চক্র। টাকা নেওয়ার জন্য তারা কল করে এভাবে ফন্দি করেছিলেন।‌

ওসি আরও বলেন, পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা সাইফুলকে উদ্ধারের জন্য যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি।