ঢাকা: আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোয় ১৬ থেকে ১৭ জনের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এক্ষেত্রে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিপিএএ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমকেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। গাজীপুর সিটিতে ৪৮০ কেন্দ্র, খুলনায় ২৮৯, বরিশালে ১২৬, রাজশাহীতে ১৫২ এবং সিলেট সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯০ কেন্দ্রে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোতায়েনের ছক অনুযায়ী, প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এদের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রে চার জনের হাতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচ জনের হাতে থাকবে অস্ত্র।
পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারে ১৯০ টি মোবাইল ফোর্স, ৯৪ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১০০টি টিম এবং ৪৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে ভোটের এলাকায়। সদস্যরা ভোটের আগে পরে সর্বোচ্চ পাঁচদিনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতের জন্য ১৯০ জন নির্বাহী এবং ৫৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।
পাঁচ সিটির নির্বাচনে বিজিবি-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। সিটি কর্পোরেশনভূক্ত এলাকাসমূহে বিজিবি এবং নির্বাচনী এলাকার নিকটবর্তী নদী পথে দায়িত্ব পালন করবে নৌ-পুলিশ। রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা কামনা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে।
রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদা ব্যতিরেকে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে বা ভোট গণনাকক্ষে কোনো প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। নির্বাচনী এলাকায়/নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ কোনো ব্যক্তি/বস্তুর যাতায়াত/চলাফেরা ইত্যাদি আইন অনুযায়ী রোধ করবে। এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটকেন্দ্র সমূহের ইভিএম এবং ইভিএম’র কারিগরি সহায়তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর থাকবে।
রাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা কামনা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে। রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদা ব্যতিরেকে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনাকক্ষে কোন প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটকেন্দ্র সমূহের ইভিএম এবং ইভিএম’র কারিগরি সহায়তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রধান কাজ। এছাড়া নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সব সরঞ্জাম ও দলিল দস্তাবেজ আনা-নেওয়ার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; নির্বাচন কার্যালয়সমূহ, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করা; স্থানীয় জননিরাপত্তা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারগণকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড় করানোসহ স্থানীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা; ভোটারগণের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা; সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট কেন্দ্রসমূহের ইভিএম এবং ইভিএম’র কারিগরি সহায়তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও পুলিশের দায়িত্ব।
পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে আনসার ও ভিডিপি।