দু’একটি অভিযোগ ছাড়া পাবনায় তিনটি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলার চাটমোহর উপজেলার ১১টি, ঈশ^রদী উপজেলার ৭টি, সাঁথিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং বেড়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বেড়া পৌরসভার ভোট হয় ইভিএমে। অবাধ ও শান্তিপূর্ন ভোটগ্রহণে প্রশাসনের তরফ থেকে নেয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
চাটমোহর উপজেলার কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। বিশেষ করে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা বলেন, অনেকদিন পর তারা নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে উচ্ছসিত।
উপজেলার জবেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বৃ-গুয়াখড়া মক্তব কেন্দ্র, আনকুটিয়া নঈম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে বুথে ভোটারদের ব্যালট নিয়ে নৌকায় সিল মেরে নেয়াসহ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে সানিলা ভোট কেন্দ্রে নৌকায় ভোট দিতে ভোটারদের বাধ্য করার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুর রহমান মাসুদ। এছাড়া সাঁথিয়া ও ঈশ^রদী উপজেলায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেন বলেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আনসার-পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এর বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবি, র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। কোনো অনিয়মের অভিযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।