ঢাকা, রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

পিতা মাতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ মেয়ের

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর


কুষ্টিয়ায় নিজের পিতা-মাতার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী  মেধাবী এক মেয়ে।

এ বিষয়ে পিতা-মাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার ৩নং স্কুলের পাশে মৃত রাম চন্দ্র কর্মকার ও তার স্ত্রী মানসী সাহা তার নিজের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার পিতা-মাতা তাকে ঠিকমতো খেতে পড়তে দেয় না। পরিবার থেকে প্রয়োজন মতো সুযোগ সুবিধা না পেয়েও চলতি বছর জিপিএ ৫.০০ পেয়ে এইচ.এস.সি পাশ করেন তিনি। ভুক্তভোগী ওই মেয়ের সাথে তার পিতা রনজিত কর্মকারের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অপবাদ দেয় ভুক্তভোগীর মা মানসী সাহা। আর এমন অপবাদে মানসিক ভাবে চরম ভাবে ভেঙে পড়েন ওই মেয়ে। এমনকি ওই মেয়ের প্রাইভেট শিক্ষকের সাথেও অবৈধ সম্পর্কের অপবাদ দেয় তার মা। পিতা-মাতার এমন অমানবিক আচরণে বিপর্যস্ত মেয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুষ্টিয়ার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি নেয়। চাকরির প্রতি মাসের টাকা তার পিতা নিয়ে নেয়। এমনকি অফিস থেকে নাস্তা বাবদ যে টাকা দেওয়া হয় তাও কেড়ে নেয় তার পিতা। অফিস থেকে বাড়ী ফিরতে দেরি হলে ‘তুই খারাপ কাজে করে বেড়াস’ বলে অপবাদ দেয় তার পিতা-মাতা। অভিযোগে আরো বলেন, পিতা-মাতা প্রতিটি সময়-ই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। একজন মেয়ে হয়ে তার পিতা-মাতার এমন আচরণে চরম ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই মেয়ে। আমার পিতা-মাতা আমার যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই। তাই পিতা-মাতার এ ধরনের কার্যকলাপের সমাধান চেয়ে আইনের দারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী ওই মেয়ে।

অভিযোগকারী ওই মেয়ে জানান, কারো সাথে কথা বললেই আমাকে সন্দেহের চোখে দেখে বাবা,মা। আমার প্রতি অমানবিক আচরণ সহ মারমুখী আচরণ করে। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা, মা এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মেয়ের অভিযোগ সত্য না। আমরা তাকে বিয়ের জন্য বলছি, মেয়ে বিয়ে করবে না। এই জন্য সে আমাদের নামে অভিযানে করেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ কে পাওয়া না গেলেও থানা সূত্রে জানাযায়, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।