বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা এলাকায় শুক্রবার জমি নিয়ে বিরোধে দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। সংঘর্ষে ২টি ট্রাক ভাংচুর হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষের ১০/১৫ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, টিএমএসএস নামে এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে ওই এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম মান্না নামে এক ব্যক্তির বিরোধ চলছিলো। চলতি মাস থেকে এই বিরোধে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছিলো। ৩ দিন আগে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকে এবং বিরোধপুর্ন অংশে কোন নির্মাণ কাজ না করে এর বাইরে কাজ করতে বলে। তবে শুক্রবার পুলিশের সামনেই এক পক্ষ জানিয়েছে, টিএমএস কর্তৃপক্ষ থানায় যায়নি। পরে পুনরায় সোমবার আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন, পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ি বিরোধপুর্ন অংশের বাইরে তিনি শুক্রবার প্রাচীর নির্মান করছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, প্রাচীর নির্মাণের সময় হঠাৎ করে দু পক্ষের মধ্যে মারপিট ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনার সময় দু পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হওয়া ছাড়াও ২টি ট্রাক ও প্রাচীর ভাংচুর হয়। ঘটনার সময় সেখানে ট্রাক গুলো ছিলো। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে দু’ পক্ষকে শান্ত করে। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই বিদার উদ্দিন জানান, দু পক্ষের মাধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় তারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অপর দিকে বিরোধপুর্ন জমির এক পক্ষের দাবিদার ব্যবসায়ী মান্না জান্নান, টিএমএসএস’ তাদের স্টাফসহ অন্য লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট গাাড়ি ও প্রাচীর ভাঙচুর করে। তাদের ৫/৬ জন আহত হয়েছে। অপর দিকে টিএমএসএস’ নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম জানান, গ্রামের লোকজন সেখানে গেলে মান্না ট্রাকে করে ভাড়াটে লোক নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট করেছে। তিনি আরো জানান, সোমবার পুলিশের সঙ্গে বসার কথা থাকলেও তাদের ওপর হামলা চালান হয়। এতে তাদের অনেক লোকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫/৬ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানিয়েছেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সোমবার দু’পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।