ঢাকা, শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ই পৌষ ১৪৩১

বয়স জালিয়াতী করে বিজয়ী হয়েও ফেঁসে গেলেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য

নরসিংদী প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:২৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নরসিংদীর রায়পুরায় ইউপি নির্বাচনে বয়স গোপন করে বিজয়ী হয়েও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর অভিযোগে ফেঁসে গেলেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য এস. এম জাহাঙ্গীর প্রধান।

পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী কবির হোসেন মীর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পলাশতলী ইউপি নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তাঁদের মধ্যে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জয়ী হন এস এম জাহাঙ্গীর প্রধান। তিনি একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সুরুজ মুন্সির ছেলে।

জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বয়স জালিয়াতি করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর জালিয়াতির বিষয়টি প্রথমে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী কবির হোসেন মীরের নজরে আসে। জাতীয় পরিচয়পত্রে জাহাঙ্গীরের জন্ম তারিখ ১২ মে ১৯৯৮। সেই অনুযায়ী তাঁর বর্তমান বয়স ২৩ বছর সাত মাস। কিন্তু ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে একজন প্রার্থীর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হয়। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এ উল্লেখ আছে। 

এ ব্যাপারে এস এম জাহাঙ্গীর প্রধান জানান, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে বয়স সংশোধন করিয়েছেন তিনি। সংশোধনের কপি তাঁর হাতে রয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকায় তাঁর আগের জন্ম তারিখই রয়ে গেছে; যা সংশোধন করা হয়নি বলে জানান তিনি। পরে কোনো প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি জাহাঙ্গীর।

পরাজিত মেম্বার প্রার্থী কবির হোসেন মীর বলেন, মেম্বার পদে প্রার্থী হতে ২৫ বছর বয়স লাগে; কিন্তু জাহাঙ্গীরের বয়স ২৩ বছর সাত মাস। তিনি কী করে প্রার্থী হলেন এ বিষয়ে জানতে চাই এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ পুণরায় নির্বাচনের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করেন বলে জানান তিনি।

পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান সজীব বলেন, জমা নেওয়ার সময় ওই প্রার্থীর কাগজে কোনো ক্রুটি পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা নেওয়া সকল কাগজের তথ্য যাচাই করা হবে বলে জানান তিনি।

রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর হোসেন বলেন, 'এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি প্রার্থী নিজেই তথ্য গোপন করে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ পুণরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।