ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

মানবিক ওসি মোহাম্মদ দাউদ

আশরাফুল ইসলাম তুষার,কিশোরগঞ্জ: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩ মার্চ ২০২৩ ০৬:৩৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের জানমাল হেফাজতের দায়িত্ব পুলিশের। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিরলস সেবার কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। মানবিক কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ পুলিশকে পরমবন্ধু হিসেবে মূল্যায়ন করে। এমনই একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ দাউদ। 
মোহাম্মদ দাউদ গত বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় যোগদান করেন। যোগদান করেই তিনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এবং অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এলাকার অপারেশন মানচিত্র তৈরি করেন।এই মানচিত্র মোতাবেক ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের বুঝিয়ে দেন এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
যোগদানের চৌদ্দ মাসের মধ্যেই সৎ চিন্তা ও আধুনিক রুচিশীলতার কারণে পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে তেমনি বদলে গেছে থানার চিত্র। 
থানায় সেবার মান বেড়েছে তা ছাড়া থানায় সেবা নিতে কোনো টাকা লাগে না। থানার বিভিন্ন স্থাপনার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ওসি মোহাম্মাদ দাউদ।
থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ শান্তিপূর্ণ বজায় রাখতে লিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন। ব্যক্তি হিসেবে মোহাম্মাদ দাউদ সদালাপী এবং মিষ্টভাষী। তার আচরণ ও কাজকর্মে আধুনিক পুলিশের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়।
থানায় সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতা ও সহকর্মীরা তার আচরণে সন্তুষ্ট। মানবিক দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বে আইনি কর্মকান্ড বন্ধে তিনি সজাগ।যেকোন অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা প্রস্তুত তিনি।
করোনা প্রতিরোধে প্রথম সারিতে থেকে থানা এলাকার বিভিন্ন হাট বাজার, মসজিদ, মন্দিরে যেয়ে জনসচেতনতামূলক ও করোনায় করণীয় বিষয়ে উপর জোর বক্তব্য দেন। এই বিশ্ব মহামারিতে জনগণকে ঘরে থাকার জন্য আহব্বান জানান। থানায় অফিসার ও কনেষ্টবলদের আধুনিক মানের ডাইনিং ব্যবস্থা চালু করেন।ডেঙ্গু ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তিনি নিজ উদ্যোগে থানার সকল অফিসার কনস্টেবল সহ থানা এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেন যা, দৃষ্টান্তমুলক।  ইতিপুর্বে কেউ এমন কাজ করে নাই।পরিবেশ রক্ষার্থে তিনি থানা চত্বরে বনজও ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন। থানা এলাকা শ্রীবর্ধনে রাতে বিভিন্ন রংয়ের লাইটের ব্যবস্থা করেন। তিনি থানা মসজিদ ও ওজুখানা সংস্কার করেন। 
শুক্রবার সকালে থানা প্রাঙ্গণে অসুস্থ অবস্থায় একটি কুকুর দেখতে পান ওসি মোহাম্মদ দাউদ।তাৎক্ষণিক থানার পুলিশ সদস্যকে কুকুরের জন্য খাবার আনতে বলেন।খাবার আনা হলে নিজ হাতে কুকুরের মুখে খাবার দেন ওসি মোহাম্মদ দাউদ।কিন্তু কুকুরটি অসুস্থ হওয়ায় খাবার গ্রহণ না করে ঝিমুতে থাকে।এ অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক কুকুরটির চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন ওসি মোহাম্মদ দাউদ।
সাধারণ মানুষকে যেভাবে হাসিমুখে সেবা দিয়ে থাকেন,ঠিক সেভাবেই একটি প্রাণীর সেবাশুশ্রূষার মাধ্যমে তিনি সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।