পরিক্ষা মূলক ভাবে লাল, কালো ও হলুদ তরমুজ চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন টাঙ্গাইল নাগরপুর উপজেলার ভাড়ড়া ইউনিয়নের ১ কৃষক।
ভাড়রা ইউনিয়নের শালিয়ারা গ্রামের চন্দ রায় এ বছর ১ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে তরমুজের আবাদ করে সফলতা মুখ দেখেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলেন, চন্দ রায়, এ উপজেলায় প্রথম তরমুজের আবাদ করেছেন।
এর মধ্যে ব্লাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন এবং ল্যান্ড ফাই জাতের তরমুজ চাষের ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে তিনি।
তরমুজ চাষীর চন্দন রায় সাথে কথা বলে জানা যায়, পড়াশোনা করা তার দুই ছেলের অনুপ্রেরণায় তিনি এ তরমুজ চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে ছিলেন। তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহযোগিতায়, পরীক্ষামুলকভাবে ১ বিঘা জমিতে ৩ জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।
চন্দন রায়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে নীরব রায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, পড়াশোনার অবসরে ইউটিউব ভিডিও দেখতে দেখতে তরমুজ চাষে আগ্রহ জন্মায় তার। নীরবের এ আগ্রহের কথা শুনে তার বড় ভাই ও সম্মতি দেয় এতে। দু'ভাই বাবাকে জানালে, তিনিও আগ্রহ দেখান এতে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় উপজেলায় প্রথম তরমুজের চাষ।
তরমুজ চাষী এ পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা গত রমজানে থেকেই তরমুজ বিক্রি শুরু করেছেন। স্থানীয় চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় শুরুতেই লাভের মুখ দেখতেছেন। ১ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। সব খরচ বাদ দিয়ে, এ বছর প্রায় ১ লাখ টাকার বেশি লাভ হতে পারে।
ভবিষ্যতে ৩ একর জমিতে তরমুজ চাষের কথা জানিয়েছেন সফল এ কৃষক। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, তরমুজের মত উচ্চমূল্যের বিভিন্ন ফল, ফসল ও সবজি চাষের মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। এমন উদ্যোগ হতে পারে শিক্ষিত বেকারদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি অন্যতম খাত। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফল, সবজি ও ফসলের উৎপাদন বয়ে আনতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা। দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে আমাদের একটিই কথা, চাকরির পেছনে না ছুটে বেকার বসে না থেকে, হয়ে উঠতে পারেন সফল উদ্যোক্তা। আগামীতে এ উপজেলার কৃষকদের নিয়ে আমাদের আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর বাস্তবায়ন হলে এবং কৃষকদের ও বেকার যুবকদের আগ্রহ বাড়লে, ব্যাপক পরিধিতে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব।