বিদ্যুতের তারের উপরে রয়েছে বড় দুটি শিশু গাছ। গাছ দুটি মরে পচে-গলে ভেঙ্গে পড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও পথচারীদের উপর। এতে চরম আতংকে রয়েছে স্থানীয়রা। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ পার বাজারে (কাউন্সিলের সামনে) এঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এই বড় দুটি শিশু গাছ দ্রুত এই জায়গা থেকে অপসারণ করার জন্য স্থানীয়রা জেলা পরিষদ বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন এবং ঝাঁপা ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা দ্রুত অপসারণ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এই গাছের নিচের ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানান- গাছ দুটি মরে গেছে অনেক বছর হয়েছে গেছে। এখন গাছ পচে-গলে ভেঙ্গে পড়ছে। একটু বৃষ্টি বা বাতাস হলেই গাছের বড় বড় ডাল-পালা ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে। গত বুধবার (০৪ অক্টোবর) বৃষ্টির মধ্যে সালামের হোটেলের চালের (ছাউনি) উপর ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। আমার দোকানের সামনে প্রায় প্রতিদিন ১/২ খান ডাল ভেঙ্গে পড়ে। অনেক সময় পথচারীদের গায়ের উপরও পড়ে। এতে পথচারীরা আহতও হয়। স্থানীয় আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান- এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময়, এই জায়গায় আসলে আমরা আতংকে থাকি। এই জায়গায় আসলেই উপরে তাকিয়ে থাকতে হয়। কখন যেনো বিপদ ঘটে, এমন আশংকায়। পথচারীরা এই গাছ দুটি দ্রুত অপসারণ করার দাবি করেন। ঝাঁপা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এবিষয়ে বলেন- এটা জেলা পরিষদের আওতায় রয়েছে। আর জেলা প্রশাসনের আওতায় থাকলে, আমাদের কিছু করার থাকতো। তিনি ইউএনও বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর রাজগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এটিএম (কাম) মোঃ শাহজাহান বলেন- ওই দুইটা সরকারি গাছ। আমরা মারতে পারবো না। ডাল-পালা যদি তারের উপর পড়ে, তাহলে আমরা ডাল-পালা ছেটে দিতে পারবো। জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী বলেন- ওই গাছ অপসারণের জন্য এলাকাবাসি জেলা পরিষদ বরাবর একটি আবেদন করুক। আবেদনপত্রে আমার সুপারিশ করে নিলে ভালো হবে। এছাড়াও দেখা গেছে- রাজগঞ্জ- পুলেরহাট- কুমিরা সড়কের পাশে কিছু রোড শিশু গাছ মরে পচে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোনো রকম বাতাস বা আঘাত লাগলে ভেঙ্গে পড়বে। এতে চরম আতংক নিয়ে পথচারীরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে চলাচল করে। তারা চরম আতংক নিয়ে চলাচল করে। তারাও এই গাছগুলো দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।