যশোরের শার্শায় গৃহবধূকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ৬সেপ্টেম্বর উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামে এ ঘটে। নিহতের নাম তাসলিমা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের নূর আহম্মেদের স্ত্রী।
নূর আহম্মেদ জানান, ফজরের নামাজের জন্য ভোরে মসজিদে যাই। নামাজ শেষে মসজিদে মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাড়ি এসে তিনি স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। পরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখি স্ত্রী খাটের ওপর পড়ে আছে। মাথার পেছনের ওপর একটি বালিশ পড়ে রয়েছে। সে বালিশ সরিয়ে নিলে একটি আঘাতের ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। পরে পরিবারের চাপে পড়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় তিনি প্রতিবেশী দুই যুবককে সন্দেহ করে বলেন, আমার স্ত্রীর মৃত্যুটা স্বাভাবিক নয়। এটা হত্যা। আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
প্রতিবেশী মমতাজ বেগম জানান, তাসলিমার মরদেহ গোসলের সময় মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এটা আত্মহত্যা নাও হতে পারে। পেছনে আঘাত করে তাকে হত্যা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি সম্পর্কেও অবগত নই। অভিযোগ দিলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে