ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আইইইএফএ

সংস্কারের মাধ্যমে বছরে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারে পিডিবি

এম এম লিংকন | প্রকাশের সময় : বুধবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:২১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

দেশের বিদ্যুৎ খাতে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে বছরে ১২০ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছেন ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ)। 

ভর্তুকি কমাতে সরকারকে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আইইইএফএ বলছে, শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ চাহিদার অর্ধেক জাতীয় গ্রিড থেকে মেটাতে হবে। নতুন করে তিন হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে বছরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণে অপচয় ৮ শতাংশের মধ্যে রেখে এই অর্থ বাঁচাতে পারে পিডিবি বলে মনে করছেন সংস্থাটি। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আইইইএফএর অনলাইনে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বার্ষিক ১ দশমিক ৮ গুণ রাজস্ব বৃদ্ধির বিপরীতে পিডিবির বার্ষিক ব্যয় বেড়েছে ২ দশমিক ৬ গুণ। এর ফলে সরকারকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই ৩৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছে পিডিবি।

গত অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতা ৬১ শতাংশ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতার জন্যই পিডিবির ভর্তুকির বোঝা ক্রমেই ভারী হয়েছে। দফায় দফায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করার পরও ভর্তুকি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অতিরিক্ত উৎপাদনসক্ষমতা কমাতে বিদ্যুতের চাহিদার প্রাক্কলনে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিকে বিবেচনায় নিতে হবে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইইইএফএ বলছে, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিল্পকারখানার চাহিদা গ্রিডের বিদ্যুৎ দিয়ে মেটানোর পদক্ষেপকে বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের চাহিদার প্রাক্কলন করতে হবে। 

২০৩০ সালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট হতে পারে এমন ধারণা প্রকাশ করে আইইইএফএ বলছে, এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াটের জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হলেও ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকবে। এতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎসহ অতিরিক্ত সক্ষমতা ৩৬ শতাংশে নেমে আসবে। আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল- এমন নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বাদ দিলে এটি হবে ২০ শতাংশ। ভারত ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর সঙ্গে এটি তুলনীয় হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটি।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে