চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশির ভাগ রোগীর, তাদের বেশিরভাগেরই চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা যায়।ক্যামিকেলের আগুন হওয়ায় চোখে ঝাপসা দেখছেন আগুনে পোড়া রোগীদের অনেকেই । চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ নম্বর চক্ষু ওয়ার্ডে ঘটনার পর এই পর্যন্ত মোট ৬৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।এখনো ভর্তি আছে অনেকেই । এদের মধ্যে অনেককে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট । আবার অনেকে নিজেরাই ভালো উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাড়পত্র নিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট চক্ষু হাসপাতাল গুলোতেও।
চক্ষু চিকিৎসকরা বলছেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আগুনেপোড়া বেশির ভাগ রোগীদের চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি সারতে সময় লাগবে।তাদের ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।তবে চোখের মত ওদের জীবনও জীবিকার দুনিয়াটাও সবমিলিয়ে এখন ঝাপসা। কারন অগ্নিকাণ্ডে চোখে যে কেমিক্যালের ছিটা লেগেছে তা মুছে যেতেও সময় লাগবে। তাই আমরা রোগীকে ওষুধপত্র ও চোখের ড্রপ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে ছাড়পত্র দিচ্ছি।
এদিকে পোড়া শরীরের সাথে চোখের কর্নিয়া সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরা রোগীরা জীবন ও জীবিকার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। ছাড়পত্র পাওয়া রোগীদের ৭দিন পর এসে আবার ওয়ার্ডে এসে ডাক্তারকে দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে আহতদের পাশে দাড়িয়েছে চিকিৎসক সমাজ ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল। খুলে দিয়েছে তাদের বিনা খরচে চিকিৎসার দ্বার।পার্কভিউ হসপিটাল,এপিক,ডেন্টাল হসপিটাল, চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালসহ আরো অনেক হাসপাতাল।
দগ্ধ হওয়া রোগীদের চোখের চিকিৎসার ব্যাপারে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা.ওমর ফারুক জানান,আমরা সর্বদা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হওয়া মানুষের দুনিয়ার আলো ফিরিয়ে দিতে পাশে থাকবো।তাদের জন্য আমাদের হাসপাতালের আউটডোর, ইমারজেন্সি দ্বার ২৪ঘন্টা খোলা থাকবে।ইতিমধ্যে আমাদের হাসপাতালের অফিসিয়াল পেইজ থেকে ও বিভিন্ন প্রেস রিলিজে জানিয়ে দেয়া হয়েছে সম্পুর্ন বিনামূল্যে আমরা সীতাকুণ্ড বিএম ডিপোতে দগ্ধ হওয়া রোগীদের সেবা দিবো।