ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আদালতের বারান্দায় বিয়ের পর জামিন পেলেন আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ ০৩:৫৭:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান ২২ বছর বয়সী ওই তরুণ। পরে উভয় পক্ষের আপসের পর রোববার (২৪ জুলাই) ভুক্তভোগীর সঙ্গে ওই তরুণের আদালতের বারান্দায় বিয়ে হয়েছে।

এরপর রোববার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞার আদালত মামলার বাদীর জিম্মায় তরুণটির জামিন মঞ্জুর করেন। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মামলার পর আসামি গ্রেপ্তার ছিলেন। পরবর্তীতে আসামি পক্ষ আদালতে জামিন চান। তখন আদালত মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীকে আদালতে আসার জন্য নির্দেশ দেন। পরে উভয়পক্ষ বিষয়টি সামাজিকভাবে আপস করেন।

তিনি বলেন, এরপর আজ ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আসামি ও ভুক্তভোগীর বিয়ে হয় আদালতের বাইরে। দুই পক্ষের সম্মতিতে ভুক্তভোগী ও আসামির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এসব কাগজপত্র তারা আদালতে উপস্থাপন করেছেন। এরপর মামলার বাদীর জিম্মায় অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

জানা যায়, অভিযুক্তের আইনজীবী লিখিতভাবে জানান বাদী ও অভিযুক্তের স্বজনরা তাদের বিয়েতে সম্মত।   এরপর আদালত রোববার অভিযুক্ত তরুণকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। পরে দুই পক্ষের স্বজনদের উপস্থিতিতে আদালতের বাইরে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। এরপর বিচারক বাদীর জিম্মায় যুবককে জামিন দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ফোরকান উদ্দীন খোকন বলেন, মামলার বাদী ও আসামি পক্ষের মধ্যে আগে আপস হয়। পরে আজ আদালতের বাইরে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

এরআগে বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী এলাকার ওই ভুক্তভোগীর সঙ্গে একই থানার পুইছড়ি ইউনিয়নের আরবশাহ ঘোনার এলাকার তরুণটির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত ১১ এপ্রিল তরুণটি ভুক্তভোগীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে এমন অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলায় ওই ছেলে ও ছেলের মা-বাবাকেও আসামি করা হয়। পুলিশ ঘটনার দুইদিন পরে মেয়েকে উদ্ধার ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে ছেলেটি কারাগারে ছিল।