ঢাকা, শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭শে পৌষ ১৪৩১

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন শনিবার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর  দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের  ঐতিহ্যবাহী ঐতিহ্যবাহী সংগঠন  কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৬৫ সালে স্থাপিত কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন প্রেস ক্লাব। এই প্রেসক্লাবে নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর  ভোটের মাধ্যমে সাংবাদিক নেতা নির্বাচন করা হয়।২০২৩ ২০২৫ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রার্থীরা ভোটারের কাছে ভোট চাইতে চাইতে সময় পার করছে। প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন সাংবাদিক রুবেল হত্যাসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার ত্বরান্বিত করতে নবনির্বাচিত সাংবাদিক প্যানেল  বড় ভূমিকা পালন করবে।


কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব নির্বাচন ঘিরে ঐতিহ্যবাহী এ জেলার ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক ফোরাম, নাগরিকদের বিভিন্ন সংগঠন, আমলা সহ সচেতন মহল সবর রয়েছে। দুটি প্যানেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অনেক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। শহরে জুড়ে প্রার্থীদের  বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা লড়াইয়ে এক পক্ষ থেকে অন্য পক্ষ এগিয়ে থাকার প্রাণপন চেষ্টায় আছে।

এ যেন অস্তিত্ব টিকে থাকার এক লড়াই। তবে ৩০ তারিখ  সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আলম। ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১৯ টি পদে দুইটি প্যানেলের ৩৬ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ দশটি সম্পাদক ও নয়টি রয়েছে। এক প্যানেলে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আল মামুন সাগর ও দৈনিক যুগান্তর এর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আবু মনি জুবায়ের রিপন অন্য প্যানেলে দৈনিক কালের কন্ঠের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  তারিকুল হক তারিক ও চ্যানেল ২৪ এর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি শরীফ বিশ্বাস নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উভয় প্যানেলে জেলার কিংবদন্তি সাংবাদিকসহ অনেক পরিচ্ছন্ন ইমেজের একাধিক সাংবাদিক রয়েছে। সাধারণ ভোটাররা মনে করছে এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেলে যোগ্য প্রার্থী থাকায় ভোটে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। অপরদিক  কয়েকজন প্রার্থী জানান, ১৯ টি পদের সকল পদে প্রার্থী থাকায় ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি পেয়ছে। ভোটে জয় পরাজয় থাকবেই। আমাদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও কোন প্রতিহিংসা নেই। ভোট যুদ্ধে জয় পরাজয় থাকবেই যিনি জয়ী হবেন তাকে আমরা অভিনন্দন জানিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়া সকল প্রার্থীর কাগজপত্র সঠিক ও বৈধ বলে ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার। এরপর থেকেই প্রচার প্রচারণায় নামে সকল প্রার্থী।