কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের ২য় গেটে সদ্য জামিন পাওয়া দুই জনের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলখানা মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার সন্ধা ৬ টাই এ হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে আশঙ্কা জনক অবস্থায় একজন কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছ। আহতরা হলেন বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈ এলাকার বাশার, জাফর এবং তাদের নিতে আসা একই এলাকার রাজা, রানা,ঝন্টু ও আকলী।
স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এই বিষয়ে বটতৈল গ্রামের হাবিব হোসেন বাদি হয়ে একই উপজেলার কুমারগাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে তন্ময় ,আসমত ও টিপুসহ অজ্ঞাত ২০/২২ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে বটতৈল হাইস্কুল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় তন্ময় বাদি হয়ে বাশারসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ বাশার ও জাফরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে।
এরপর আসামীরা জামিন আবেদন কররে বিজ্ঞ আদালত পাঁচ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেড়িয়ে ভ্যানে বাড়ি ফেরার পথে জেলখানা মোড়ে হামলার শিকার হয়। এ সময় নগদ অর্থ , স্বার্ণালংকার , মোবাইল ফোন ভেঙে যাওয়াসহ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। বাশারের ভাই হাবিব জানান, আমার ভাই মোঃ বাশার ও প্রতিবেশী মোঃ জাফর কুষ্টিয়া কারাগার হইতে বাহির হইয়া আমার আপন ভাই মোঃ রাজা (৪০), মোঃ রানা (৩৫), প্রতিবেশী মোঃ ঝন্টু (৩৯), মোছাঃ আকলী (৫৫) জেলখানা মোড় সংলগ্ন সরকারি মহিলা কলেজের গেটের সামনে রাস্তার উপর পৌছাইলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা উল্লেখিত আসামীগণ হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে আমার ভাই সহ অন্যান্যদের পথরোধ করিয়া ২নং আসামী মোঃ আসমত এর হুকুমে ১নং আসামী তন্ময় আহমেদ ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই রাজা এর মাথার উপরে এলোপাতাড়ী কোপ মারিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। ২নং আসামী মোঃ আসমত তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী মোঃ ঝন্টু এর মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে আঘাত করলে গুরুত্বর জখম হয়। পুনরায় ১নং আসামী তন্ময় আহমেদ ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার অপর ভাই মোঃ রানা এর মাথার উপরে এলোপাতাড়ী কোপ দিয়ে গুরুত্বর ভাবে জখম করে। এমন সময় সুযোগ বুঝে ২নং আসামী মোঃ আসমত প্রতিবেশী মোঃ ঝন্টু এর প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১৯,৫০০/-টাকা নিয়ে নেয়। ১নং আসামী তন্ময় আহমেদ মোছাঃ আকলী এর গলায়থাকা ০৮ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি চেইন, যাহার মূল্য অনুমান-৫০,০০০/-টাকা নিয়ে নেয়। ৩নং আসামী টিপু আমার ভাই মোঃ রাজা এর কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে পাকা রাস্তায়ছুড়ে মেরে ভেঙ্গে ফেলে যার
আনুমানিক মূল্য ৯,০০০/-টাকা ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও সকল আসামীগণ আমার ভাই সহ প্রতিবেশীদের বহনকৃত পাখি ভ্যান ভাংচুর করে অনুমান ৪৫,০০০/-টাকা ক্ষতিসাধন করে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তন্ময় আহম্মেদের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় নি।
এ ঘনটায় কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।