ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামের হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ ১২:২৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জ্যৈষ্ঠের খরতাপে নগরে বেড়েছে উষ্ণতা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী। তবে শঙ্কার বিষয়, হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগীই একটি নির্দিষ্ট এলাকার। ফলে ওই এলাকার সরবরাহকৃত ওয়াসার পানি থেকে এমন রোগের জীবাণু ছড়াচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।  

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১২৭ জন। গত ৭ দিনে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬১৬ জন। এছাড়া গত একমাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৬ জন।

 ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে নতুন করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৩৯ জন। সবমিলিয়ে বিআইটিআইডিতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন রোগী।  

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি ৩০ শতাংশ রোগীই কলেরায় আক্রান্ত। তাদের বেশিরভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন। গরমের কারণে কোনো খাবার কিংবা পানি থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।  

বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহের মধ্যে যেসব ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই বাড়ি হালিশহর, বন্দর, নিমতলা, আনন্দবাজার এলাকায়। ধারণা করছি, ওই এলাকার পানিতে কোনো সমস্যা রয়েছে।  

তিনি বলেন, হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছে এদের প্রত্যেকে ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে অনেকের বমি, জ্বর ও পানিশূন্যতা বেশি। এজন্য বাইরের খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবার পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জনের অধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন ডায়রিয়ার রোগী।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডায়রিয়া নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। আমরা সচেতনতার ওপর বেশি জোর দিয়ে আসছি। প্রস্তুত আছে ২৮৪ জনের চিকিৎসক টিম। তাছাড়া সচেতনতা বাড়াতে উপজেলায় প্রচার প্রচারণা চালানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।