ঢাকা, শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১
চাঁদাবাজি বন্ধে সমাজ থেকে প্রতিরোধ করার আহ্বান

১৫ বছরে রাজনৈতিক পরিচয়ে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : সোমবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৫৫:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

রাজধানীতে ইদানিং ছিনতাই ও চাঁদাবাজি অহরহ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রো পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তবে ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশ সক্রিয় থাকলেও চাঁদাবাজি বন্ধে সমাজ থেকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস এ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলছেন, ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে। বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে, তবে, ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে। চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয় উল্লেখ করে শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যান্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।

ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে যোগ করেন তিনি।

ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।

গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে বিভিন্নভাবে পরিচয় (রাজনৈতিক) নিশ্চিতের পর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না গো হোম (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জুলাই-আগস্টের ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তবে, অচিরেই ডিএমপিকে সচল করতে সক্ষম হবো বলে প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে