ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো পুলিশরা কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, "যে পুলিশ ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে তাদের শহীদ করেছে, তারা কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল রয়েছে? বিশেষ করে, গোপালগঞ্জের মতো জেলার ২০০ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কীভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে?" তিনি আরো অভিযোগ করেন, “ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয়ে শেখ হাসিনা দেশকে গণকবরে পরিণত করেছেন।”
ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে মহামারীর সময় কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।"
রিজভী প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা খবর পাচ্ছি, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ২০০ জন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা, যারা হাসিনার ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। এদের ব্যাপারে তদন্ত করা প্রয়োজন।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে তিনি বলেন, “একজন পুলিশ কর্মকর্তা সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিডিও দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘স্যার একজন মরে, আরো দু’জন দাঁড়িয়ে যায়।’ এ ধরনের মানসিকতার পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রাখা ছাত্রজনতার রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে।”
রিজভী অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে দেশকে গণকবরে পরিণত করেছেন।" তিনি দাবি করেন, "এ ধরনের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা না হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।"
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা আমিনুল হক ও এস এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।