জেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুন্নবী মৃধা অভিযোগ করেছেন, তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ‘ প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী’ ছিলেন না বলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট হলফনামা দাখিল করতে বাধ্য করা হয়েছে। রবিবার বিকালে ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। মনোনয়ন পত্রে তার পক্ষে রজব আলী প্রস্তাবকারী ও মিজানুর রহমান সমর্থনকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে মনোনায় বাছাইয়ের নির্ধারিত প্রস্তাবক ও সমর্থনকারী প্রার্থী নুরুন্নবী মৃধার সাথে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত নুরুন্নবীর সাথে জেলা রিটার্নি কর্মকর্তার নিকট যান নাই। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে আর যোগাযোগও করতে পারেননি তিনি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, রজব ও মিজানুর মোটরসাইকেল যোগে রবিবার সকালে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর থেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে ওই দুজনের পরিবার জানায়, তাদের বাড়ীর আশপাশে মোটরসাইকেলযোগে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মহড়া দিচ্ছিল। ধারণা করছি, আমার মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লোকজন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খানের সমর্থনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই অবস্থায় মনোনয়ন বৈধ অথবা নতুন করে তফসিল ঘোষনার দাবি জানান তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সসম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,নুরুন্নবী মৃধা’র আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান সর্বজন স্বীকৃত সম্মনিত মানুষ। এটি তার সামাজিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াস হতে পারে। তিনি আরো বলেন, নুরুন্নবী মৃধার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট উপস্থিত হয়ে জানান, তারা চেয়ারম্যান পদে সমর্থন ও প্রস্তাবকারী ছিলেন না। তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর করিয়েছেন নুরুন্নবী মৃধা।
অপরদিকে নুরন্নবী মৃধার প্রস্তাবক রজব আলী ও সমর্থনকারী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী স্বশরীরে এসে উপস্থিত হয়ে বলেন, তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। পরে এফিডেফিটের মাধ্যমে তারা সমর্থন ও প্রস্তাবনা তুলে নেন। যার কারণে নুরুন্নবী মৃধার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।