ঠাকুরগাঁওয়ে দুটি বাস ও একটি জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংক লড়ীর ত্রিমুখী সংঘর্ষে শাহাদাত হোসেন (৪৫) ও মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (৩০) নামের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ত্রিমুখী এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত আরও দশ জন ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ এর সামনে ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে । নিহত তেলবাহী ট্যাংক লড়ীর চালক শাহাদাত হোসেন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকার বাসিন্দা এবং শ্যামলী নৈশ্য কোচের যাত্রী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ সদর উপজেলার রুহিয়া চামেশ্বরী এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় জগন্নাথপুর এলাকার হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ এর সামনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী এন্টারপ্রাইজ এর একটি নৈশ্যকোচ অপরদিক থেকে আসা জ্বালানি তেলবাহী একটি ট্যাংক লড়ীকে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। ঠিক একই সময়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র বহনকারী বাসও এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের যাত্রী সানাউল্লার মৃত্যু হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তেলবাহী ট্যাংক লড়ীর চালক শাহাদাতের মৃত্যু হয়। আহত ১০ জনের মধ্যে নৈশ্য কোচের চালক সহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
শ্যামলী নৈশ্য কোচটি অতিরিক্ত গতিসম্পন্ন হওয়ায় এবং সে সময় বৃষ্টি হওয়াতে রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক দূর্ঘটনায় ২ জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনাস্থলে একজনকে নিহত ও আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে সেখানে অপর একজনের মৃত্যু হয় ।