২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রততম সময়ে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে। সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হতে একটি মিছিল নিয়ে মডার্ন মোড়ে এসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১ টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা কোটা প্রথা মানি না মানব না, কোটা প্রথা বাতিল কর করতে হবে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথা কবর দেসহ কোটা পুনর্বহালের বিপক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশ হতে জানা যায়, ২০১৮ সালের কোটা সংস্করণে আন্দোলনের ফলে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা পেয়েছিলাম সেই কোটা ২০২৪ সালে আবার ফিরিয়ে আনা হয় তাই এরই প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার গর্জে উঠে। কোটা যতদিন পর্যন্ত সংস্কারের কোন ফলাফল আমরা না পাচ্ছি ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলতেই থাকবে। আমরা জানি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন বৈষম্য মূলক বাংলাদেশ চায় নাই, কিন্তু বর্তমানে কোটা নামক এক প্রথা চালু করে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে যে বৈষম্য তৈরী করেছে এটা আমরা সহজে মেনে নিবো না। বৈষম্যমূক কোটা একটি দেশের জন্য অভিশাপস্বরূপ। যেখানে মেধার ভিত্তিতে মেধাবীদের চাকরি হয় না, সেখানে অমেধাবীদের দখলে চলে যাচ্ছে কর্মক্ষেত্রগুলো। প্রকৃত মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীরা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই কোটা পদ্ধতি চালু থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস ডেকে আনবে, দেশ মেধাশূন্যতায় ভুগবে।
আমরা চাই, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে সংস্কার করতে হবে। কোটার গেড়াকলে পড়ে যোগ্য মেধাবীরা বঞ্চিত হতে পারে না এই সোনার বাংলায়। তাই আমরা দ্রæত সময়ের মধ্যে কোটা সংস্কার করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।