পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নে সফিউদ্দিস আহমেদ ফাউন্ডেশন, সেফ হাসপাতাল ও মানবিক সাহায্য সংস্থার উদ্যোগে দারিদ্র চক্ষু রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা, ছানি অপারেশন, লেন্স স্থাপন ও চশমা প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০:০০ টা হতে দুপুর ০২:০০ টা পর্যন্ত এই সেবা কার্যক্রম চলে ।
সেফ হাসপাতালের চক্ষু বিষয়ক কয়েকজন বিষেশজ্ঞ ডাক্তারের উপস্থিতিতে দেবনগড় ইউনিয়নের প্রায় ২ শতাধিক চক্ষু রোগী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সেবা গ্রহন করে । এদের মধ্যে অধিকাংশই বয়োবৃদ্ধ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন বলেন, আমি আগে সেফ হাসপাতালের ভ্রাম্যমাণ চক্ষু হাসপাতালে আমার চোখ দেখিয়ে চশমা সেবা পেয়েছি । এখন আবার দেখাতে এসেছি । এখন ডাক্তার বলেছে আমার চোখে ছানি পড়েছে । আমাকে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করে দিবে। পাশাপাশি আমাকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে অপারেশনের সব প্রক্রিকা শেষ করে আমাকে আবার সুস্থ্য করে বাড়িতে পৌচ্ছে দিবে। এখানে যাবতীয় খরচ সেফ হাসপাতালের । আমি খুব খুশি । এ রকম সাহায্য আমাদের গরিব মানুষদের খুব উপকারে আসবে।
৬০ উর্দ্ধো বয়োষ্ক বিধাব মহিলা কানন বালা বলেন , আমি চোখে ঝাপসা দেখি, এখানে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা নিতে এসেছি । আমাকে এখন সেফ হাসপাতালে নিয়ে যাবে , অপারেশন করে বাড়িতে পৌচ্ছে দিবে।
৭ নং দেবনগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সলেমান আলী বলেন, সেফ হাসপাতালের এমন উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই, এতে করে আমার ইউনিয়নের প্রায় ২ শতাধিক চক্ষুরোগী সেবা পেলেন। আমি খুব আনন্দিত। এভাবে চক্ষ ুসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ইউনিয়ন পর্যায়ে এসে দারিদ্র চক্ষুরোগীদের সেবা দেয় তাহলে আমরা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আরও একধাপ এগিয়ে যাব।
সেফ হাসপাতালের ম্যানেজার মোঃ রাজিউল হাসান জানান সফিউদ্দিস আহমেদ ফাউন্ডেশন, সেফ হাসপাতাল ও মানবিক সাহায্য সংস্থার উদ্যোগে সারা বছর , পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই ভ্রাম্যমাণ চক্ষুসেবা অথ্যাৎ দাড়গোরায় চক্ষুসেবার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি আমাদের এই উদ্যোগের কারণে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রান্তিক দারিদ্র রোগীরাও চক্ষুসেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।