ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রীর 'আত্মহত্যা'

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৭ মে ২০২২ ১০:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী অনামিকা সরকার (২১) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, অনামিকা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে ডিএমপির তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনামিকা বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমরা জানতে পেরেছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন আমরা তা জানি না। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতে আসেনি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান।

এ বিষয়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশিষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সোমবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় অনামিকাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে, রোববার (২২ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্ক সংলগ্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের সরকারি ডরমেটরিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনামিকা। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে এরপর শহরের নিউ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার বিকেলে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে অনামিকা কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

এ বিষয়ে নিউ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের মালিকপক্ষের একজন বাবুল মিয়া জানান, তিনি সম্ভবত ফাঁসিতে ঝুলে ছিলেন। তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর বলা হয় আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। এরপর তাকে আমাদের এখানে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।

অনামিকার মৃত্যুর বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।