ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নিয়ম মেনেই বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে, নইলে ব্যবস্থা- সিএস ডাঃ কবির

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ,করেসপন্ডেন্ট : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৬ জুন ২০২২ ০৩:৪৯:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আহমদ কবীর বলেছেন, আইন কানুন মেনে এবং শতভাগ মান বজায় রেখেই প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ডায়াগনষ্টিক সেন্টার পরিচালনা করতে হবে। আইন লংঘন হলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। রবিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি কবি রাজু হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান তুহিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা হয়। 

তিনি বলেন, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে আগে লাইসেন্স নিয়ে তার পর প্রতিষ্ঠান শুরু করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, কেউ কেউ আগে প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা শুরুর পর লাইসেন্স নিয়ে ভাবেন। এখন আর সে সুযোগ কেউ পাবেন না, কাউকে সে সুযোগ দেওয়া হবেনা। 

অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত লক্ষ্মীপুর জেলার ক্লিনিক এবং ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশ্যে সিভিল সার্জন বলেন, জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় গোটা বেসরকারি খাতের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তিনি শতভাগ আইন-কানুন, নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সেবার মানোন্নয়নের জন্য ক্লিনিক এবং ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। 

ডাঃ আহমদ কবীর বলেন,  সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের অফিস সময় সকাল ৮ ঘটিকা থেকে দুপুর ২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের কোন ডাক্তারকে প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ডায়াগষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। 

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে লক্ষ্মীপুরে হোমিও এবং হারবাল ডাক্তারসহ নিয়মানুয়ায়ী আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে পারেন না এমন লোকেরাও আল্ট্রাসনোগ্রাফী করে থাকেন। যা সম্পূর্ণ বে-আইনী। আইন হচ্ছে, বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া কেউ আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে পারবেনা। তাছাড়া যিনি আল্ট্রা করবেন তিনি বিএমডিসি রেজিঃ নম্বরসহ সীল দিবেন। প্রয়োজনে তাকে যেন সহজে সনাক্ত করা যায়।

সিভিল সার্জন ডাঃমোঃআহমেদ কবির বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে ল্যাব ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলি ভিজিট শুরু করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স আছে বা লাইসেন্স পক্রিয়াধীন রয়েছে এবং মানসম্মত, সেগুলো পরিচালনার সুযোগ দেয়া হবে। অন্যসব বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

 আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. রাসেল মাহমুদ মান্না, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক প্রমূখ। এসময় লক্ষ্মীপুর জেলার প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।