ঢাকা, রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ই আশ্বিন ১৪৩১

নীলফামারীর বেজা’র জমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মোতালেব হোসেন : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৮ এপ্রিল ২০২২ ০২:১৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সুদৃষ্টি থাকায় নীলফামারী মঙ্গপীড়িত এলাকায় তার বিশেষ বিবেচনায় প্রতিষ্ঠিত হয় সৈয়দপুর থানার শেষ সীমানায় উত্তরা ইপিজেড। ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অত্র এলাকায় ব্যপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বৃদ্ধ মানুষ বাদে কর্মক্ষম সকল মানুষের কর্ম সংস্থান হয়েছে এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করে। ইপিজেডে সরাসরি কাজ করেন প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক। তারা এখানে কাজ পেয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিবেচনায় সৈয়দপুর থানার শেষ প্রান্তে ঢেলাপীর নামক স্থানে পরিত্যাক্ত ও খাস সব মিলিয়ে মোট ১০৬ একর জমিতে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন  প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।

গত ২০১৬ ইং তারিখে নীলফামারী জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক বেজাকে ১০৬ একর জমি হস্তান্তর করেন। উক্ত জমিটির সীমানা ঢেলাপীর এর রেলরলাইনের দুই পার্শ্বে এবং নীলফামারী যাওয়ার রাস্তার পাশে। উক্ত জমির রেললাইনের পাশেই একটি অসাধু প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র রেললাইনের পূর্ব দিকে বেজার জমিতে অবৈধভাবে স্থায়ী ঘরবাড়ি দোকান পাট নির্মান করছেন। অপরদিকে রেললাইনের পশ্চিমে বিশাল অংশে রাতের অন্ধাকারে বালু তোলার বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে দেদারসে ব্যবসা করে চলেছেন। বালু উত্তোলনের ফলে সেখানে বিশাল বিশাল গভীর পুকুর তৈরী হয়েছে যা পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করা প্রায় অসম্ভব। ভূমিদস্যুদের বালু উত্থোলন রেলপথের পাশে চলে যাওয়ায় যে কোন মুহুর্তে রেলপথ এই গভীর গর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। হুমকিতে পড়েছে আশেপাশের অন্যান্য স্থাপনাও।

বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ভূমিদস্যুরা আরো বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে। সরকারী জমি থেকে এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে বড় বড় মেশিন লাগিয়ে তারা কোন সাহসে বালু উত্তোলন করে চলেছে সেটি বিরাট প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এদের মদদদাতা কে? কার সাহসে তারা এভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তা বিরাট বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় পতি বাহিনী ও বুলাল সাহা নামে দুই ব্যাক্তি এই বালু উত্তোলনের মূল হোতা, তারা অবাধে সরকারী জমির বালু মেশিন দিয়ে তুলে বালু বানিজ্য করে চলেছে। দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা দপ্তরগুলি বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে।

এব্যাপারে ¯থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই পতি ও বুলাল সাহা দীর্ঘ কয়েকবছর যাবৎ এভাবে বালু বানিজ্য করছে। তাদের মতে এই দুই ব্যাক্তি প্রায় শত কোটি টাকার বালু উত্থোলন করে বিক্রি করেছে বলে জানা যায়।