বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জিয়া-এরশাদের ক্ষমতার উৎস ছিল ক্যান্টনমেন্ট। আর আমাদের ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। বিএনপি জনগণের কাছে ভোট চাইতে ভয় পায়, তাই তারা বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দেয়। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্নে বিভোর।
তিনি বলেন, আমাদের শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রু বিএনপি। বিএনপি যদি সহিংসতা করে তাহলে আমরাও শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হবো।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে জেলা যুবলীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপি এখন একটি জনবিচ্ছিন্ন দল। তারা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। দলটি মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামাত চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে মোকাবেলা করা হবে।
পরশ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে সুশাসন কায়েম হয়েছে। সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মন জয় করেছেন। সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সঠিক নেতৃত্ব ছাড়া দেশ ও জাতি চলতে পারে না। তাই হবিগঞ্জে আগামীতে উন্নত প্রগতিশীল নেতৃত্ব আসবে।
জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিনের পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ প্রমূখ।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এ সময় জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্ধোধন করা হয়। সম্মেলনে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হন।
সবশেষ ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।