সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করায় স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। ওই ক্ষোভ যেকোনো সময় সংঘাতে রূপ নিতে পারে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি জানিয়ে বারবার দায়িত্বশীলদের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর চার সদস্যের উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে স্থান পেয়েছিলেন সভাপতি আকমল হোসেন, সহসভাপতি মিজানুর রশিদ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু ও যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসান।
২০২৩ সালের ২৭ সিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন কমিটির সভাপতি আকমল হোসেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন মিজানুর রশিদ ভূইয়া। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, যেসব কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রয়েছেন-তারা ভারমুক্ত। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বেলায় তা কার্যকর হয়নি। স্থানীয় দায়িত্বশীলরা জননেত্রীর ঘোষণাকে নানান কৌশলে ঝুলিয়ে রাখেন। ওই অবস্থায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বারবার দায়িত্বশীলদের কাছে ছুটে গেছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বলতে গেলে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন স্থানীয় দায়িত্বশীলরা। ফলে জগন্নাথপুর আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড ঝিমিয়ে পড়েছে। বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
এ প্রসঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রশিদ ভুইয়া বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি নিয়ে বারবার দায়িত্বশীলদের কাছে গেছেন। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মিজানুর রশিদ।