আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মাদারীপুর সদর উপজেলার সবখানে এখন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ।
রোববার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
চমশা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মাহবুবর রহমান হাওলাদার অভিযোগ করেন ধুরাইল ইউপি নির্বাচনে তার এক প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান হাওলাদার তার নির্বাচনী প্রতীক আনারস লিফলেটের পরিবর্তে ট্রাক ভর্তি আনারস এলাকায় এনে তা বিতরণ করছেন; এবং আনারস ফলের সাথে ভোটারদের কাছে অবৈধ নগদ টাকা বিতরণ করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেছেন, এলাকায় হিন্দু ভোটারদের আনারস প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মাহবুবর রহমান আরো অভিযোগ করেন, তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান হাবিব এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে বাড়ি বড়ি সাধারণ ভোটারদের ভেতরে আতংক সৃষ্টি করছেন। আমার নেতাকর্মীদের হাত পা কেটে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচেছন। এসব বিষয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও তেমন কোন ফলাফল পাচেছন না।
এদিকে চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবর রহমানের অভিযোগ প্রসঙ্গে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা হাবিবুর রহমান বলেন, তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে তার নির্বাচনী দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একজন মাহবুবর রহমান মিথ্যাচার করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনই মাহবুবর রহমানের লোকজন অনেক মটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেয়, যা নির্বাচনী আচরণ বর্হিভুত। তিনি শুধু নির্বাচনেই নয়, গত কয়েক বছর ধরেই মাহবুবর রহমান আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। আর নির্বাচনের মাঠেও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।
এই বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ধুরাইলের মাহবুবর রহমানের অভিযোগের বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখব।
তিনি বলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলায় এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন।