রাত পোহালেই (২৮ নভেম্বর) সিলেট বিভাগের ৭৭টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চলমান দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এটি তৃতীয় ধাপ। এ ধাপে সিলেট জেলার ১৬ টি ইউনিয়নে হচ্ছে ভোট।
সেগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম, লালাবাজার, জালালপুর, মোগলাবাজার ও দাউদপুর ইউনিয়ন। জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর, চারিকাটা, দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউনিয়ন। গোয়াইনঘাট উপজেলার ডুবারি, তোয়াকুল, নন্দিরগাঁও, ফতেপুর, লেংগুড়া ও রুস্তমপুর ইউনিয়ন।
সিলেটে ২৮ নভেম্বরের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবার বাড়তি সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইলেকশন কমিশন। সিলেটের ১৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটের দিন মোতায়েন থাকবে পুলিশ ও আনসারের ২২ জনের ফোর্স। এদের মধ্যে ৫ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার। সকল পুলিশ ২ জন আনসার সদস্যের সঙ্গে অস্ত্র থাকবে। বাকিদের সঙ্গে থাকবে লাঠি।
ভোটের দিন সিলেটের ৩ উপজেলার প্রতিটিতে র্যাবের দু’টি করে মোবাইল ও একটি করে স্ট্রাইকিং টিম, প্রতিটি উপজেলায় বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য মোবাইল টিম ও এক প্লাটুন থাকবে স্ট্রাইকিং টিম মাঠে থাকছে। এছাড়াও সিলেটে এবার প্রথম প্রশিক্ষিত আনসার বাহিনীর স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন করা হবে ভোটের দিন।
প্রতি উপজেলায় ভোটগ্রহণের আগের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ- মোট ৪ দিনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় নিয়োগ করা হয়েছে একজন করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ জানান, সুষ্ঠভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ আইনশৃঙখলা রক্ষকারী বাহিনীর ৪টি সংস্থাও প্রস্তুত। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা নিজেদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিবেন। র্যাব সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে।
ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অ্যাজেন্টরাও শনিবার বিকেলের মধ্যে নিজেদের কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। আর ব্যালট পেপার কালি ও সিলসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম শনিবার বিকেল থেকে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো শুরু হয়েছে।