ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রায়পুরে ফোনের টাওয়ার এর ঝোঁপ থেকে বিলুপ্ত মেছো বাঘ উদ্ধার, পুলিশের জিম্মায় দিয়েছে জনগন

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, করেসপন্ডেন্ট। | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৭ অগাস্ট ২০২২ ০৬:২২:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছৈয়াল বাড়ির গ্রামীন টাওয়ার এর ঝোঁপ থেকে বিপন্ন প্রাণী মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করেছে মিল্লাত নামে এক ব্যক্তি। বুধবার দুপুর ৩.৩০ এর দিকে ঝোঁপ পরিষ্কার করতে গেলে বাচ্চা রেখে মা মেছোবাঘ পালিয়ে যায়।

 

বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাশ বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। 

 

মেছোবাঘ, বাঘরোল বা মেছো বিড়াল (ইংরেজি: Fishing Cat), (বৈজ্ঞানিক নাম:Prionailurus viverrinus) মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় একধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। ব্রাজিল, কোস্টা রিকা, বাংলাদেশ, ভারত, বলিভিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, লাউস, শ্রীলঙ্কায় এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত। এদের আবাসস্থল থাইল্যান্ড ও এল সালভাদোর। বিগত কয়েক দশকে বাঘরোলের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি স্থাপন, কৃষিজমিতে রূপান্তর ও অন্যান্য কারণে বাঘরোলের আবাসস্থল জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছোবাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে।বাংলাদেশের ১৯৭৪[৩] ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।বাঘরোল সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া এবং জলাভূমিতে বাস করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হ‌ওয়ায় এধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করা হয়।

 

দক্ষিণ চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার নুরে আলম জিকু বলেন, বিপন্ন প্রাণীটি উদ্ধার করে জনগন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। তারা বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করবে।