ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ উত্তরপূর্ব এলাকার জনপদ।অত্যধিক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সেখানে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বেশিরভাগ এলাকা, দেখা দেয় খাদ্য সংকট, মানবেতর জীবনযাপন করছে পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন নগদ অর্থ, খাদ্য সামগ্রী এবং জরুরী ঔষুধ বিতরন করা হয় শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে।
উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ বিতরণ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানিবন্দি হয়ে সেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন কাটাতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধদের।
বন্যা দুর্গতদের খাবারসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন স্বাভাবিক রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। দেখা দিয়েছে শিশুখাদ্য সংকট। এমন অবস্থায় শিশুখাদ্য সহ খাবার সামগ্রীর ত্রাণ কাজে এগিয়ে এসেছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন নগদ অর্থ, খাদ্য সামগ্রী এবং জরুরী ঔষুধ বিতরন করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় হস্থান্তর করা হয় সিলেট সেনানিবাসের আজ দুপুর ১টা সিলেট সেনানিবাসে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয় সিলেট সেনানিবাসের ত্রাণ গ্রহণ বিভাগের প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন মাহজাবিন তানজিম রাফার কাছে।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জেলায় খাবার বিতরন করার জন্য বিশুদ্ধপানি প্রদান করা হয়েছে জেলা পুলিশ সিলেট'র পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এর প্রতিনিধি এসআই আনোয়ারের কাছে, জেলা পুলিশ লাইনে।
সংগঠনটির ৬ সদস্যের টিমে ছিলেন রাশেদ আহমেদ, মামুন হোসেন, আল ফারুক, মোশাররফ হোসেন, রাজু হাসান, ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ।
ত্রাণ বিতরণ কালে সদস্য মোঃ ওয়াহিদুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগের অতি দরিদ্র বন্যার্তদের জন্য লক্ষ্মীপুুর জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন নগদ অর্থ, খাবার ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ছাতক এর দোয়ারা বাজার ও সুনামগঞ্জের প্রত্যান্ত এলাকায়।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি রাজু হাসান বলেন, ‘বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে আমাদের সবার এক হওয়াটাও অতীব জরুরি। বন্যাউপদ্রুত এলাকায়, বিশেষ করে প্রত্যান্ত এলাকায় খাদ্যসংকট কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’ তারই ধারাবাহিকতায় এই কার্যক্রম। তিনি আরও বলেন, পক্ষ থেকে এই জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা চেষ্টা করছি সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। মানুষের এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে এক হওয়া দরকার। বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় আমাদের একতা এবং আন্তরিকতা খুব বেশি প্রয়োজন।’