ঢাকা, বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্র ১৭৯ মে.টন থাকলেও আমনের চাল উৎপাদন হয়েছে ১৫৭ লক্ষ মে.টন

এম এম লিংকন | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সারাদেশে এই মৌসুমে উৎপাদিত আমন ধান থেকে ১৫৬.৮৯ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮.৭৪৩ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের। তবে, এখন পর্যন্ত সারাদেশে মোট আমন ধান কর্তন করা হয়েছে শতকরা ৮৯ শতাংশ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন বিভাগ তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানা যায়। 

আমনের মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে এই ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও বৃহত্তর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। একইসঙ্গে বাজারে ধানের দামও ভালো। এতে খুশি চাষিরা। কারণ বাজারে এখন নতুন আমন ধানের মণ ১২০০-১৩০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসবেরও তাই ভিন্ন আমেজ চলছে।

জানা যায়, এবার ৫৯.৫৬৮ লক্ষ্য হেক্টর জমিতে আমনের আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো। কিন্তু বন্যার কারনে ৫৮.৫৬ লক্ষ্য হেক্টর জমিতে এই ধানের চাষ করা হয়। আর শেষ পর্যন্ত ধান টিকিয়ে রাখা যায়, ৫৬.৭১ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৫৬.৫৬ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে কৃষকের। 

এবার আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল আগের আওয়ামী লীগ সরকার। ৬১টি জেলার ৫ লাখ ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য রোপা আমন ধানের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।

গত ২০২৩ -২৪ অর্থ বছরে আঊস, আমন এবং বোরো মিলিয়ে মোট ৪ কোটি ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছিল। যা সারা বছর দেশের সব মানুষের খাবারেনর চাহিদা মেটাতে সক্ষম ছিল। যদিও সরকার কোন দুই এক সময় চাল আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। 

উৎপাদিত চালে দেশের চাহিদা মিটলেও সরকার কেন বাইরে থেকে চাল আমদানি করেছিল তার কারণ হিসেবে বিশেজ্ঞরা বলছে, দেশে সব সময় তিন মাসের খাদ্য মজুদ রাখতে হয়। আবার গৃহপালিত অনেক পশুকেউ মানে বিভিন্ন খামারে গরু-ছাগল- হাস-মুরগীকে চাল খাওয়ানো হয়। এই কারণে কিছু পরিমান চাল আমদানি করা হয়।  

১৫৬.৮৯ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং সূত্র দৈনিক বায়ান্নকে বলছে, বোরো এবং আঊস দিয়ে সারা বছরের চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে