ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬শে পৌষ ১৪৩১

লন্ডন পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া, ৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ

সালেহ্ বিপ্লব, ঢাকা | প্রকাশের সময় : বুধবার ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৩১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: বিএনপি মিডিয়া শেল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল ২টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বেগম জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

472974190_1229488525209252_6865420323661145504_n

খালেদা জিয়ার সাথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকা একজন ব্যক্তিগত একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেন, বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হবে লন্ডন ক্লিনিকে। 

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বেগম জিয়ার বিদেশ যাত্রার জন্য কাতারের আমীর এই বিশেষ বিমানটি পাঠিয়েছেন। লন্ডন পৌঁছানোর আগে প্রায় দীর্ঘ আট ঘণ্টার ভ্রমণে দোহায় যাত্রাবিরতি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম সাক্ষাৎ করে চেয়ারপারসনের শারীরিক খোঁজখবর নেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা গুলশানে জড়ো হতে থাকেন।খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানসহ বিমানবন্দরের পথে রাস্তার দুপাশে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জড়ো হন।

চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

তাকে রাখা হয় ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ও নির্জন কারাগারে। কারাগারে থাকাকালে নানা রোগে আক্রান্ত হন বিএনপি নেত্রী। বারবার যেতে হয় হাসপাতালে।

আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জামিন ও মুক্তি না মেলায়, প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে পরিবারের আবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কারাবাসের ২ বছর একমাস ১৩ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অস্থায়ী মুক্তি দেন তাকে। 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয়মাস করে বাড়ানো হয় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ।

এতদিন বাসা-হাসপাতাল, হাসপাতাল-বাসা এভাবেই কাটছিল বেগম জিয়ার জীবন। কয়েকদফা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় তাকে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি নেত্রীকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেয়া হয় চিকিৎসা। 

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়েকদফা তারিখ পরিবর্তন হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। 

কাতারের সরকারি বিমানবহরের এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ সুবিধা ছাড়াও রয়েছে তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষার সব ধরনের সুবিধা। লন্ডনে যাওয়ার আগে দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

বায়ান্ন/এসবি