যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন, ২৪'র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে নবীন প্রভাত ও ঐতিহাসিক বিজয়ের যে সূচনা হয়েছে, এই বিজয় আমাদের ধরে রাখতে হবে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহয়োগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদী অপশক্তির দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে আছে। তাই দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বৈষম্যহীন নিরাপদ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন, আমাদের তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ ডিসেম্বর জাতির জীবনে একটি শোকার্ত দিন। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে চুড়ান্ত বিজয়ের দুইদিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সংস্কৃতিসেবী যাঁরা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অবদান রাখছিলেন তাঁদের বেছে বেছে হত্যা করে। তারা মনে করেছিল বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত জাতির এই শ্রেষ্ঠসন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে না এবং নতুন দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি স্তব্ধ হয়ে যাবে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে মুখ থুবড়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা এক সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে হানাদার বাহিনীর দোসররা এদেশের শ্রেষ্ঠসন্তানদের অস্তিত্বকেই বিপজ্জনক মনে করেছিল, তাই তারা ১৪ ডিসেম্বর বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ড চালায়। পৈশাচিক সে হত্যাকান্ড জাতির জীবনে সৃষ্টি করেছে এক গভীর ক্ষত। দেশমাতৃকার এই বরেণ্য সন্তানদের অম্লান স্মৃতি আজও আমাদের ব্যথিত ও বেদনার্ত করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তাঁদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল। ১৮ বছর ধরে দলটি ফ্যাসিস্ট মাফিয়া হাসিনার সীমাহীন জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেও বীরের মত লড়ে গেছে এ জাতির মুক্তির জন্য। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে দূর্বিনীত স্বৈরাচার হাসিনার কবল থেকে এই দেশ ও জাতি মুক্তি পেয়েছে। তাই দেশের আপামর জনগণের দুঃখকষ্ট লাগবে আমাদের সবাইকে ভালবাসার হাত প্রসারিত করে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে সমষ্টিগত সুখময়, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ। যে রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।
এসময় যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/এসএ