মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় গত ২৬ এপ্রিল নিজ বাসার সামনেই অন্য আরও কয়েকটি শিশুর সাথে খেলছিলো ৩ বছরের সিদ্দিক। খেলার এক পর্যায়ে শিশুটিকে চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়ে। অনেক খোজাখুজি করেও না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন সিদ্দিকের বাবা দেলোয়ার হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার অপহরণকারী পীযূষ কান্তি পাল ও সহযোগী ও স্ত্রী রিদ্ধিতা পালসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের দেয়া তথ্যে অপহরণের ২২ দিন পর গোপালগঞ্জ থেকে শিশু সিদ্দিককে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান সাংবাদিক জানান, শিশুটিকে অনলাইনে বিজ্ঞাপণ দিয়ে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিলো।
অপহরণকারীদের সাথে শিশুটির ক্রেতা পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বেবি সরকার এবং বিক্রিতে মধ্যস্থতাকারী সুজন সুতারকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, পীযূষ কান্তির বিরুদ্ধে আগেও মানবপাচারের মামলা ছিল।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘র্যাব-২ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে, অপহরণকারী ব্যক্তি সাভারের বাসিন্দা পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল। এই দম্পতি শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে অনলাইন গ্রুপে পোস্ট দেয়।
‘সেখানে তারা নিজেদের গৃহকর্মীর শিশু হিসেবে অপহৃত শিশুটিকে পরিচয় করিয়ে পোস্ট দেন। এরপর তারা সুজন সুতারের মাধ্যমে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বেবি সরকারের কাছে শিশুটিকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।’
এমন ঘটনা ঠেকাতে অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে র্যাব।