ঢাকা, শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭শে পৌষ ১৪৩১

শৈলকুপায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ফারুক হোসেনের সংসার চলে বাদাম বিক্রি করে

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৩১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দোহার গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী ফারুক হোসেনের সংসার চলে বাদাম বিক্রি করে। সে শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুড়ে ঘুড়ে বাদাম বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন তা দিয়ে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে কোন মতে চলে তার সংসার। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের দোহার গ্রামের মৃত তাইজাল হোসেনের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী ফারুক হোসেন। তার বয়স ৪০ বছর। লাঙ্গলবাঁধ বাজারে কথা হয় শারীরিক প্রতিবন্ধী বাদাম বিক্রেতা ফারুক হোসেনের সাথে। তিনি জানান, আমি জন্ম লগ্ন থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমার ৩ ছেলেসহ সংসারে রয়েছে ৫ জন সদস্য। এদের মধ্যে বড় ছেলে সাগর হোসেন ৮ম শ্রেণীতে, রহমত হোসেন ৪র্থ শ্রেণীতে এবং ছোট ছেলে মহব্বত হোসেন প্রথম শ্রেণীতে লেখা পড়া করে। বাড়িতে ৫’শতক জমি ছাড়া আমার আর কিছু নেই। বিভিন্ন হাটবাজারে বাদাম বিক্রি করে প্রতিদিন ২ থেকে ৩’শ টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে কিন্তু ছেলেদের লেখা পড়ার খরচ সহ ভালো জামা কাপর কিনে দিতে পারিনে। তারপরও সন্তানদের বুঝতে দিতে চাই না আভাব কি। তাদের মুখে হাঁসি ফুটাতেই আমি বিক্রি করি বাদাম। আর সরকারি ভাবে মাসে যে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে থাকি তাদিয়ে চলেনা সংসার। কিন্তু বাজারে নিত্যপন্যের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাতে আমার মতো লোকের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তার গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান জানান, প্রতিবন্ধী ফারুক হোসেন হাট বাজারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বাদাম বিক্রি করেন। তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল মানুষ। সব সময় হাসি মুখে থাকেন। যা আয় করে তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালান। সমাজে কারোর কাছে তিনি হাত পাতেন না। তবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছ থেকে কোন ভাতা পান কিনা সেটা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে ৭ নং হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ইকু বলেন, সে যেহেতু সরকারি ভাতা পেয়ে থাকে তাহলে আমি আর কি করব। তবে আমার কাছে আসলে যতটুকু পারি আমি সহযোগিতা করব। এদিকে প্রতিবন্ধী বাদাম বিক্রেতা ফারুক হোসেন ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া ও পারিবারিক খরচ চালাতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। প্রতিবন্ধী বাদাম বিক্রেতা ফারুক হোসেন এর বিকাশ- ০১৭১৮-৩৭৯১২৫ নাম্বারে সাহায্যে পাঠাতে পারেন। সকলের সহযোগিতা পেলে ছেলেদের লেখা পড়া ও পারিবারিক খরচ চালাতে কিছুটা হলেও তিনি উপকৃত হবেন।