ঢাকা: আসন্ন পাঁচ সিটি (গাজীপুর, রাজশাহী ও সিলেট এবং খুলনা ও বরিশাল) নির্বাচনে সরকার দলীয় মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদ পরিষদের সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিচ্ছে সংস্থাটি।
রোববার (৩০ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সব প্রার্থী আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। মেনে চলতে তারা বাধ্য। আমরা কমিশন থেকে যেটি অনুরোধ করেছি সবাই যেন বিধিমালা মেনে চলেন। তারপরও কারো কারো মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে কিছুটা হলেও কৌশল করে না মানার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্লিপস, গণমাধ্যমের সূত্র আমাদের কাছে আসছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে কোনো কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর শুভাকাঙ্ক্ষিদের মধ্যে আচরণ বিধি না মানার প্রবণতা দেখছি।
মো. আলমগীর বলেন, আজকে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আহ্বানে বৈঠকে বসেছিলাম। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি হলো-যারা সরকারে থাকেন তারাই সাধারণত আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করেন বেশি। সরকারে যারা থাকেন আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশ কারি আমরা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারি দলের দায়িত্বও অনেক বেশি।
সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, আমরা যেটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কেবিনেট সেক্রেটারিকে আমরা একটা পত্র দেবো তিনি যেন এটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে যারা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য আছেন, তাদের যেন অন্তত অনুরোধ রাখেন যেন এ ধরনের কোনো আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ না হয়। একইভাবে সরকারি দল যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এ দলের সাধারণ সম্পাদককেও আমরা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করবো, যে গাসিকসহ পাঁচ সিটি নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের প্রারম্ভে হচ্ছে। এ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য তাদের দায়িত্ব আরেকটু বেশি। সরকারি দলে যারা আছেন, তারা যেন আচরণ বিধি মেনে চলেন, সে নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন কেবিনেট সচিবকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হবে। কেননা, আমরা যে সমস্ত চিঠি জারি করি বা আইনে কি আছে সেটি হয়তো ওইভাবে সবাই দেখেন না এজন্য এটি দেওয়া হবে, যেন সবাইকে তিনি অবহিত করবেন। আজকেই চিঠি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেও চিঠি দেওয়া হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাসিক ভোটের মনোনয়নপত্র বাছাই রোববার চলছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোট ১২ জুন।
আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পিত্তর শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন ও ভোট ২১ জুন।