গত ২০১৭ সালের ১৯শে এপ্রিল সৈয়দপুরে আয়োজিত দূদকের গণশুনানীতে রুহুল আলম মাষ্টার রেলের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাদের অনিয়ম দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন এর রেলের রেশন গোডাউন ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মান, মার্কেট নির্মান, পজেশন বিক্রি এবং রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে উল্ল্যেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। তৎকালীন দূদক চেয়ারম্যান অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্দের নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় তদন্ত চলাকালীন সময় দূদক কর্তৃক চাহিবাপত্রে কাগজ পত্রে দেখা যায় এক বছরের জন্য জয়নাল আবেদীনের নামে লীজ বরাদ্দ হলেও উক্ত ঠিকাদার কাগজ টেম্পারিং করে ৯৯ বছর বানিয়ে ফেলেছেন এবং সেই অবৈধ কাগজ বলেই তিনি উক্ত জমি দখল করে খাচ্ছেন।
১৯৮৪ সালে তৎকালীন সময়ে ৮ টাকা স্কয়ার ফিট হিসাবে তিনি উক্ত রেশন গোডাউন লীজ পান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি লীজের শর্ত অমান্য করে লীজের কাগজ টেম্পারিং করে উক্ত গোডাউন ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মান করেন এবং পজিশন দোকান অন্যের বরাবরে বিক্রি করে হাতিয়ে নেন প্রায় চল্লিশ কোটি টাকার উপরে এবং চতুর জয়নাল ঠিকাদার কৌশলে রেলের বেশীর ভাগ কর্মকর্তা কর্মচারীকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে মামলাটি প্রায় নিক্রিয় করে ফেলেন। মামলার বাদী রুহুল আমিন মাষ্টার দূদকে পূনরায় তথ্যের জন্য আবেদন করলে দূদক বিষয়টি নিয়ে ্এ্যাকশন শুরু করে।
দূদক রেলের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাকে তলব করে ঠিকাদার জয়নাল আবেদীনের বৈধ লীজসহ অবৈধ দখলে থাকা সকল জমির হিসাব তলব করে যার স্বারক নং-ল্যান্ড /কাঃ৭ও৮/দূদক/১৮/সৈয়দপুর/২০২২/১৮৯ তারিখ ২৪/০৮/২০২২ ইং। অত্র স্বারক বলে ফিল্ড কানুনগো জিয়াউল হক জিয়া ষ্টেশন এলাকার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের নিকট রেলের পাওনা সর্ব সাকুল্যে পাওনা ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭ শত ৫০ টাকার নোটিশ পাঠান যা ২০২০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর জারীকৃত ভূ নীতিমালার ৫০এর ক ধারা মোতাবেক সকল বকেয়া আদায় যোগ্য।
রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দীর্ঘদিন গোপন রাখলেও দূদকের অনুসন্ধানে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। এই ব্যাপারে একাধিক নগরবিদের সাথে কথা বললে তারা জানান রাষ্ট্রীয় সম্পদ কারো বাপের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, জয়নালের মতো আরো বহু ভূমিদস্যু এই শহরে রেলের জমি দখল বানিজ্য করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে তারা মত দেন।