ঢাকা, শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

স্মার্ট বগুড়া জেলা বিনির্মাণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালা

বগুড়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২ মে ২০২৩ ০৭:৫৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

স্মার্ট ডিষ্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩ উপলক্ষ্যে স্মার্ট বগুড়া জেলা বিনির্মাণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বগুড়া সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এবং উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কমুমার চক্রবর্ত্তী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ আফসানা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিডি) নিলুফার ইয়াসমিন প্রমুখ।

কর্মশালা বিষয়ে মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন (জুমের মাধ্যমে) উপ-সচিব ও এনপিএফ স্পেশালিষ্ট এটুআই মোহাম্মাদ শামছুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও প্রেজেন্টেশন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের পরিকল্পনাই হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিশ্রæতি ও শ্লোগান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত হওয়ার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। এ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে উচ্চ আয়ের, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত মানবসম্পদের স্থিতিশীল ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও নগরায়নের এক দেশ সেখানে সকল সেবাই থাকবে নাগরিকের হাতের মুঠোয়।

আলোচনায় বলা হয়, স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণাটি ৩টি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। যেমন- পেপারলেস, ক্যাশলেস ও প্রেজেন্সলেস।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪টি ভিত্তির কথা বলেছেন। এগুলো হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রতিটি স্টেক্টরের কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য সরকার ২০২৬, ২০৩১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে এরুপ বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাকে স্মার্ট জেলায় রুপান্তর করতে হবে। জেলা সমূহে বর্তমানে যে সকল সেবা প্রদান হরা হয়ে থাকে সেসকল সেবাকে ৪র্থ শিল্পবিল্পবের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিকতর সহজলভ্য করতে হবে। স্মার্ট জেলা গঠন করতে গেলে শহরব্যবস্থাপনা, গ্রামব্যবস্থাপনা, শিক্ষাক্ষেত্র, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষাবলয়, কৃষিখাত, শিল্পখাত, সেবাখাত, প্রশাসন ও নাগরিক সুযোগ সুবিধা সমূহকে অবশ্যই স্মার্ট করতে হবে, আর এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমূহ। আর্টফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, বায়ো/ন্যানো টেকনোলজি, বিগ ডাটা এনালিটিক্স, এআর/ভিআর, সাইবার সিকিউরিটি, ক্লাউড, কম্পিউটিং, বøকচেইন, আরওটি, ড্রোন প্রভৃতিই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রধান হাতিয়ার।

স্মার্ট জেলা বিনির্মাণে জেলার প্রতিটি সরকারি বেসরকারি দপ্তর এবং সংস্থাকেই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে বগুড়া জেলাকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট জেলায় রুপান্তরের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ্েভং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এ কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্য ধেকে বিভিন্ন পেশার সংমিশ্রণে ১০টি গ্রæপ করা হয়েছিল। প্রতিটি গ্রæপ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের পরিকল্পনা (স্বল্পমেয়াদী/মধ্যমেয়াদী/দীর্ঘমেয়াদী) উপস্থাপন করেন। প্রতিটি উপস্থাপনায় উঠে আসে স্মার্ট জেলার বিভিন্ন ধাপ সমূহ।