দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। আকাশে মেঘ দেখা দিয়েই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অফিস সহায়করা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ষ্টোর রুমে এই চিত্র দেখা গেছে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নাভিদ হোসেন বলেন, আমাদের দু’টি রুম। একটি স্যার বসেন। আরেকটিতে আমরা কাজ করি। দু’টিতে ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। আকাশে মেঘ দেখা দিয়েই আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখি।
হাকিমপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোস্তাফিজার রহমান ছাদ চুয়ে পানি পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাদ সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রাশেদ আলী বলেন, উপজেলা পরিষদের পুরনো কোর্ট বিল্ডিংয়ে আমাদের ষ্টোর রুম। সেখানে ত্রানের মালামাল রাখা হয়। কিন্তু বিল্ডিংটি পুরনো হওয়ার কারণে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। যা মেঝেতে জমে থাকে। ত্রানের মালামালগুলো ইটের উপর রেখে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়েরও একই অবস্থা।
হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাওছার রহমান বলেন, ষ্টোর রুমে কোন কাগজপত্র থাকেনা। তবে বৃষ্টি এলেই ত্রানের জিনিসপত্র চালের বস্তা, কম্বলসহ অন্যান্য মালামাল ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ-আলম জানান, এই অফিসগুলো পুরনো কোর্ট বিল্ডিং এ। এই কারণে ভবনের উপরের জলছাদ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের। বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে।