ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুলিশকে ছুরিকাহত করার মূলহোতা সোহেল মিয়া অবশেষ আটক হয়েছেন। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার সময় সোহেলকে আটক করা হয়। এদিকে পুলিশকে ছুরিকাহতের ঘটনায় রজুকৃত মামলায় এপর্যন্ত ৪২জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (০৯ মে) দুপুরে আটককৃত সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার শিবনগর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোকাল তাকে আটক করা হয়। আটককৃত সোহেল মিয়া (৩৩) উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মৃত তারু মিয়ার ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে (শুক্রবার) সন্ধ্যায় আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবনগর গ্রামের মাদক কারবারী সেলিম মিয়ার বাড়িতে মাদক উদ্ধারে যায়। ঘটনা টের পেয়ে মাদক কারবারী সেলিম ও তার সহযোগীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশ কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা। ধস্তাধস্তিকালে মাথা এবং পেটে আঘাত পায় কনস্টেবল খায়রুল। আহত খায়রুলকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে বর্তমানে খাইরুল অনেকটা শঙ্কামুক্ত আছেন। এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হবার পর আসামীদের গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্ট এলাকায় একরকম চিরুনি অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে প্রায় অর্ধশতজনকে। সর্বশেষ ঘটনার মূলহোতা সোহেলকেও গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ। এই নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা উন্নীত হলো ৪২ জনে।
আখাউডড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করর বলেন, পুলিশকে আহতের মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এ মামলায় এপর্যন্ত ৪২ জন আটক হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আটক সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।