বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
দেশ ও দলের এই দুঃসময়ে একজন সৈয়দ আশরাফের অভাব প্রতিটি ক্ষণেই অনুভবনীয় বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দলটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই মন্তব্য করা হয়েছে।
সৈয়দ আশরাফের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এই পোস্টে লেখা হয়, আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা, সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। দেশ ও দলের এই দুঃসময়ে একজন সৈয়দ আশরাফের অভাব প্রতিটি ক্ষণেই অনুভবনীয়।
এতে আরো লেখা হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সারাজীবন একটি অনুপ্রেরণার নাম হয়ে বেঁচে থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মীর হৃদয়ে, তার স্মৃতি আমাদের সাহস জোগাবে আগামীর কঠিন সময়গুলোতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে উগ্রবাদীদের হাত থেকে চিরতরে মুক্ত করতে।
সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন সৈয়দ আশরাফ। ১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৭৪ সালে সৈয়দ আশরাফ উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন চলে যান। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেলখানায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হলে দীর্ঘসময় তাকে প্রবাসে থাকতে হয়।
এ সময় তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।