ঢাকা, শনিবার ৪ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

আদিবাসীদের পানির উৎসে বিষ প্রয়োগ ও মধুপুরে অবৈধভাবে লেক খননের প্রতিবাদে শাবিতে মানববন্ধন

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:১৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানের লামায় আদিবাসীদের একমাত্র পানির উৎস ঝিরিতে বিষ প্রয়োগ ও মধুপুরে গারো অধ্যুষিত এলাকায় আবাদি কৃষি জমিতে লেক খননের প্রতিবাদ জানিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন  'অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস সাস্ট'।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রভাত চাকমার সঞ্চালনায় আদিবাসীদের মধ্যে বক্তব্য দেন রুপেল চাকমা ও মাধূর্য চাকমা। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সজল কুন্ডু, আসাদুল্লাহ আল গালিফ ও তানভীর রহমান আদিবাসীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন।

এসময় বক্তারা বলেন, 'আদিবাসীদের উপর নির্যাতন আজ নতুন কোনো ঘটনা নয়। এটা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই চলেই আসছে। আদিবাসীদের উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যরা। প্রশাসনও এদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।'

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মাধূর্য চাকমা বলেন, 'পাহাড়ের গহীনে আদিবাসীদের পানির জন্য একমাত্র প্রাকৃতিক উৎসের উপর নির্ভর করতে হয়। তার মধ্যে ঝরণা অন্যতম। এ পানির উৎসে ‘লামা রাবার কোম্পানি’ বিষ ঢেলে দিয়েছে। ফলে ঐখানে আদিবাসীদের মধ্যে জনআতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সুপেয় পানির অভাবে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এ কোম্পানি ক্রমবর্ধমান হারে নানা অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এর আগে, আদিবাসীদের জুম চাষে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ওরা আমাদের কৌশলে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে।'

তিনি আরো বলেন, 'মধুপুরে গারো অধ্যুষিত এলাকায় বনবিভাগ কর্তৃক টুরিজমের নামে কৃষি জমির উপর লেক খনন করা হচ্ছে। ফলে সেখানকার কৃষিনির্ভর আদিবাসী তাদের খাদ্য যোগানের সম্বলটুকু হারিয়ে ফেলছে।'


রুপেল চাকমা বলেন, 'বান্দরবানে ত্রিপুরা ও মুরং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ভূমিদস্যু কর্তৃক যে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পাহাড়ের অনেক দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ তো দূরের কথা নিচে পাথর থাকায় নলকূপও বসানো যায় না। আর সেখানকার একমাত্র পানির উৎসে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এটা আদিবাসীদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে হুমকিস্বরুপ বলে মনে করেন তিনি।'