স্বল্পমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ওপর মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা কার্যক্রম ও ৩ দিন ব্যাপী বিশেষ সেবা ক্যাম্পের সমাপনী এবং শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ইউএসএআইডি’র মামনি এমএনসিএস প্রকল্পের সহযোগীতায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। তৈন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে রেফার পাড়া বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
এসময় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ অংচালু'র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ,টি,এম কাউছার হোসেন।
এসময় আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল এ যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা) যুগ্ন সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুবা ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক কনভেনিং কমিটির আহবায়ক দুংড়ি মং মার্মা,আলীকদম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ডাঃ বেলাল উদ্দিন, কর্মকর্তা দিদারুল আলম, ইউএসএআইডি’র মামনি এমএনসিএস প্রকল্পের বান্দরবানের সিনিয়র ম্যানেজার ডাঃ আবু শাকিল, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বান্দরবান জেলা কর্মকর্তা ধন রঞ্জন ত্রিপুরা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ফেসিলেটর মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার, ২নং চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ৩নং নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, ২৮৯ নং মৌজার হেডম্যান মংক্যনু মার্মাসহ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা বলেন, কম অগ্রগতি সম্পন্ন ও দূর্গম এলাকায় অগ্রগতি বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ৬৫ ভাগ (খাবার বড়ি ৩৯ ভাগ, ইনজেকশন ১৯ ভাগ এবং কনডম ৭ ভাগ) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। স্বল্পমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির অপূর্ণ চাহিদা কমানো পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে । এছাড়াও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, জনগণকে স্বল্প মেয়াদী প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিষয়ে সময়োপযোগী তথ্য ও সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ ক্যাম্পে ২৯,১৯৮ দম্পতিকে খাবার বড়ি, ১৪,২২৫ দম্পতিকে ইনজেকশন এবং ৫,২৪১ দম্পতিকে কনডম সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান।