শনিবার (২০ আগস্ট) উপজেলার ৮নং চরবংশী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরকাছিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি কক্ষ থেকে এ লাশ উদ্ধার করে হাজিমার ফাঁড়ি পুলিশ।সেই ঘটনার মূল আসামি ঘাতক খোকন আটক হয়েছে চট্রগ্রামে।
২৪ ঘন্টার মধ্যেই চট্টগ্রাম হতে উক্ত ঘটনার মূল হোতা স্বামী খোকন গ্রেফতার এবং কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আসামির বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ঘাতক।
স্বামী পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকান্ডে মালামার ঘটনাস্থল চর বংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়ায় ০৪ নং ওয়ার্ড হাজীমারা সুইচ গেইটের দক্ষিণ পার্শ্বে নতুন আশ্রায়ন প্রকল্পের মোঃ জাকির হোসেন দেওয়ান এর বসত ঘরের ভিতরে ফেলে ঘরের বাহিরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় ঘাতক খোকন।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী, রায়পুর সার্কেল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রায়পুর থানা, লক্ষ্মীপুরের একটি চৌকস অভিযানিক দল ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল হোতা ও এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী খোকন গাজী প্রকাশ মাসুদ (৪০) কে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার চট্টগ্রাম বটতলী রেলওয়ে স্টেশন হতে অদ্য ২২/০৮/২০২২ ইং তারিখ রাত ০২.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী খোকন গাজী প্রকাশ মাসুদ (৪০) ফৌ:কা:বি: ১৬৪ ধারায় উক্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ২২ তারিখে তারিখে বিজ্ঞ আদালতের নিকট স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।রায়পুর থানার মামলা নং-১৫,ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
উল্লখ্য, শনিবার (২০ আগস্ট) উপজেলার ৮নং চরবংশী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরকাছিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি কক্ষ থেকে এ লাশ উদ্ধার করে হাজিমার ফাঁড়ি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট আসমা বেগম ও তার স্বামী খোকন গাজীর মধ্যে ঝগড়া হয়। স্থানীয়দের ধারণা, ঝগড়ার পর আসমা বেগমকে ঘরের ভিতরে রেখে বাহিরে তালা দিয়ে বের হয়ে যায় খোকন। পরে আজ শনিবার কক্ষের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ আসায় স্থানীরা খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।